খুলনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা কদরুল হাসান দুই দিন ধরে নিখোঁজ

খুলনা ব্যুরো: খুলনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা কদরুল হাসান (২৫) দুই দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও পুলিশ এখনো তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি।
আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বদরুলের স্ত্রী সাঈদা খাতুন এ তথ্য জানান। নিখোঁজ কদরুল হাসান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, তারা নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোনারবাংলা গলিতে বসবাস করেন। কদরুল হাসান সরকারি হাজী মুহম্মদ মুহসীন কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন এবং পড়ালেখার পাশাপাশি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পার্টটাইম কাজ করতেন।
সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন অগ্র সেনানী হিসেবেও তার ভূমিকা ছিল অনন্য। বিশেষ করে সাম্প্রতিক দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠিত ত্রাণ সংগ্রহের কাজেও রাত-দিন পরিশ্রম করে নগরীর ময়লাপোতা এলাকায় কাজ করেছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকেল অনুমান তিনটার দিকে আমার স্বামী বাসা থেকে বের হয়। ওইদিন সন্ধা সাতটার সময় তার সাথে আমার মোবাইলে কথা হলে সে জানায় যে, আমি বর্ন্যাতদের ত্রানের কাজে ব্যস্ত আছি। খুব দ্রুত বাসায় ফিরবো। পরবর্তী তে সে বাসায় ফেরেনি। রাত অনুমান ১১টার সময় আমি আমার স্বামীকে ফোন দিলে ১ বার তার নাম্বার খোলা পাই। কিন্তু ফোন রিসিভ করে না। তার পর থেকে নাম্বার বন্ধ। অনেক খোঁজাখুঁজি করে আমার স্বামীর কোন সন্ধান পাইনি।
এরপর থেকে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তথা কয়েকজন সমন্বয়কের সাথে যোগাযোগ করেছি। সম্ভাব্য সকল স্থানে তাকে খুঁজেছি। কিন্তু কোন সন্ধান পাইনি।
সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রথমে কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি। জিডি নং: ৪৩২ তারিখ: ৬/০৯/২০২৮। এছাড়া রাতে আবার পুলিশের পরামর্শে কেএমপির খুলনা থানায় আরও একটি জিডি করা হয়। কেননা হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাস্থল খুলনা থানা হওয়ায় পুলিশ এমন পরামর্শ দেয়। খুলনা থানায় দায়েরকৃত জিডি নং-৩৯৭, তারিখ:০৬/০৯/২০২৪।
কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি। এমতাবস্থায় আমরা পরিবারের সকলেই উদ্বীগ্ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখনো তার ক্লু পাইনি। তবে সে ত্রাণের কাজ করছিল আমাদের থানার ঠিক বিপরীত দিকে, যেটা পড়েছে সদর থানার মধ্যে। ওখানে কাজ শেষে সে রাত ৯টার দিকে বাসায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু সে বাসায় যায়নি।
‘তারপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে। সম্ভাব্য তার যেসব জায়গায় যাওয়ার কথা, সব জায়গাতেই খোঁজ নেওয়া হয়েছে। ফোনও ট্রেকিং করা হয়েছে, সেখানে দেখানো হচ্ছে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ত্রাণ দেওয়ার কাজ যে জায়গায় করেছিল, সেই জায়গায় দেখাচ্ছে। আমরা তার সন্ধান পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.