খুলনায় ছাত্র-পুুলিশ সংঘর্ষে আহতদের অনেকের শরীরে গুলি

খুলনা ব্যুরো: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-জনতার গণমিছিলকে কেন্দ্র করে খুলনায় পুলিশ-শিক্ষার্থী দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুর্হুমূর্হু টিয়ারসেল, বারাব বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে কমপক্ষে ১৫/২০ আহত হন। এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার দুপুর ২টায় খুলনা নিউমার্কেট এলাকা থেকে বৃষ্টি ও পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা গণমিছিল শুরু করে।
মিছিলটি ৩টার দিকে শান্তিপূর্ণভাবে গল্লামারী মোড়ে পৌঁছায়। সেখান থেকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় সন্ধ্যা সোয়া ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এতে কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরতারা জানিয়েছেন, বিকেল থেকে সংঘর্ষে আহত রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সিরাজুল ইসলাম (৬০), শাহরিয়ার নীরব (২৪), আবির (২৪), মিজান (৪৮), ফাইয়াস (২৩), রবিনা (৩২), নাবিল (২৪), মিজান (৩২), সৌরভ (২৩), শেখ তানিক (২২), মিতু (২১), তানিয়া (১৯), রাবেয়া সুলতানা(২৩) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া আরো কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানান, আহতের অনেকের দেহে গুলি লেগেছে। এদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কপালে রবার বুলেটবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। জরুরীভাবে অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর বুলেট বের করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া কমপক্ষে ৭/৮জনের শরীবের গুলি রয়েছে। বাকীরা টিয়ারসেল, রাবার বুলেট ও ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলের পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। বিভিন্নস্থানে বাধা সৃষ্টি করছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে টিয়ারসেল, গুলি ছুঁড়েছে। এতে অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে কেএমপির ডিসি সাউথ তাজুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুবৃত্তরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি ছোঁড়ে। কতজন আহত হয়েছে তা এখন বলা যাচ্ছে না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.