খুবিতে খুলনাঞ্চলের প্রথম বৃহদাকার উন্মুক্ত ছাদ নির্মাণ

খুলনা ব্যুরো: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের ছাদের উন্মুক্ত অংশে দৃষ্টিনন্দন টেনসাইল মেমব্রেন স্ট্রাকচার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহদাকার উন্মুক্ত ছাদের উপর খুলনাঞ্চলে এ ধরনের কাজ এই প্রথম। ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের উন্মুক্ত ছাদের টেনসাইল মেমব্রেন স্ট্রাকচার নির্মাণ কাজের চুক্তি মূল্য ছিলো ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। গ্রাউন্ডফ্লোর থেকে প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতায় এই টেনসাইল মেমব্রেন স্ট্রাকচার ছাদ নির্মাণ করা হয়।
এক্ষেত্রে গ্রাউন্ড থেকে ছাদ পর্যন্ত কোনো পিলার ব্যবহার করা হয়নি। ছাদের উপরের অংশে আনুভূমিকভাবে স্ট্রাকচার করে পিরামিড আকৃতির ৯টি মডিউলে প্রায় ৫০০ বর্গমিটার আয়তনের উপর এই টেনসাইল মেমব্রেন বসানো হয়েছে। টেনসাইল মেমব্রেন ছাদটি ঝড়-বৃষ্টি প্রতিরোধী, তবে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে।
এই ছাদ নির্মাণের ফলে ভবনের নীচতলার চারুকলা ইনস্টিটিউটের তিনটি ডিসিপ্লিন উপকৃত হবে। এখানে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রদর্শনী ও সেমিনার সিম্পোজিয়ামের আয়োজনও সম্ভব হবে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে এ এল এম টেনসাইল মেমব্রেন স্ট্রাকচার লিমিটেডের সাথে উক্ত টেনসাইল মেমব্রেন স্ট্রাকচার নির্মাণ কাজের এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইতোমধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্নের পর তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ছাদের নীচে গ্রাউন্ডে এখন ৩-৪ শ’ লোকের যে কোনো সভা, অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হবে। তাছাড়া এখানে প্রদর্শনী গ্যালারি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিন প্রধান ড. নিহার রঞ্জন সিংহ বিটিসি নিউজকে বলেন, এটা আমাদের জন্য খুব ভালো খবর। এই ছাদ নির্মাণের অভাবে এতোদিন বিশাল গ্রাউন্ড ফ্লোরটি কাজে লাগানো যাচ্ছিলো না। এখন ছাদের পাশাপাশি গ্রাউন্ড ফ্লোরটির উন্নয়নে ও ডেকোরেশনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে কাজ সম্পন্ন হলে এখানেই আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভা, সেমিনার ও শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারবো। স্থায়ী গ্যালারি না হওয়া পর্যন্ত এখানেই সেই সুযোগ সৃষ্টি সম্ভব।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.