খাল খননের নামে কয়েক হাজারও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ধ্বংসের পথে

মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বনগ্রাম ইউনিয়নে খাল খননের নামে শতাধিক কৃষক পরিবারের হাজার হাজার ফলজ ও বনজ বৃক্ষ ধ্বংসের পথে। ভূক্তভোগী এলাকাবাসির ক্ষয়ক্ষতির প্রতিরোধে বাগেরহাট-৪, স্থানিয় সংসদ সদস্য সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ভূক্তভোগীদের অভিযোগ ও সরেজমিনে জানাগেছে, বনগ্রাম ইউনিয়নের বিষখালী খালের শাখা কন্দর্পপুর বহরবৌলা ও বিষখালী ৩ গ্রামের সমন্বয়ে এ শাখা খালটি প্রবাহিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এ খালটি পুনঃ খননের জন্য ২ কিলোমিটার খাল কাটা কার্যক্রম শুরু হয়। ১৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পটি আলিফ এন্টার প্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি বরাদ্দ পায়। পরবর্তীতে তাদের কাজ থেকে সাব কন্টাক হিসেবে জনৈক স্থানীয় হুমায়ুন কবির কাজটি শুরু করেন।

কাজের শুরুতেই খালের দু’পাড়ের বাসিন্দাদের কোন মতামত না নিয়ে প্রকল্পের কাজের নমুনা চার্ট না টাঙ্গিয়ে নিয়ম বর্হিভূত খাল কাটা শুরু করে। এতে খালের এক প্রান্তে কন্দর্পপুর ও বহরবৌলা গ্রামের শতাধিক কৃষক পরিবারের নারিকেল, সুপারী, আম-কাঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিনষ্টের পথে। মাটি তুলে কয়েক একর ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন করেছেন কৃষকদের।

বড় ভ্যাকু মেশিন দ্বারা এক পাড়ের মেশিন রেখে মাটি কাটায় ভেঙ্গে দিয়েছে কয়েকটি পরিবারের কবরস্থানসহ পিতা মাতার সমাধি। ক্ষতিগ্রস্ত ভূক্তভোগী বহরবৌলা গ্রামের প্রাক্তণ ইউপি সদস্য সুনিল মন্ডল (৬৫), শিক্ষক মনি শংকর ঢালী (৩৮), মর্জিনা বেগম (৬০), কন্দর্পপুর গ্রামের শেখর বৌদ্ধ, সাবেক সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য অঞ্জলী হালদারসহ অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ এ ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভের সাথে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এ খাল কাটা কৃষকদের উপকারের জন্য ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দে কোটি টাকার ক্ষতি কৃষকদের এ অঞ্চলের কৃষকের একমাত্র আয়ের উৎস্য সুপারি ফল, আজ সে শত শত সুপারি গাছ কেটে বিনষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এ মহামারী দুর্যোগ মুর্হুতে সুপার বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়।

কৃষক পরিবারের ২৫ একর জমি কেটে বিনষ্ট করা হচ্ছে। তাদের দাবী ম্যাপ অনুযায়ী ছোট ভ্যাকু মেশিন দ্বারা খাল কাটা হোক। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ দিকে এ অনিয়ম তান্ত্রিক খাল কাটায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে শাসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আতংকে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবার।

এ বিষয়ে খাল খননে দায়িত্বরত ঠিকাদার মো. হুমায়ুন কবির বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় মতামতের ভিত্তিতে সরকারি সিডিউল অনুযায়ী নিয়ম তান্ত্রিতভাবে খাল পুনঃখন করা হচ্ছে। কৃষকদের কোন ক্ষতি করা হচ্ছে না।

এ সর্ম্পকে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রিপন দাস বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বহরবৌলা খাল খননে ক্ষয় ক্ষতির বিষয়টি ভূক্তভোগীরা তাকে জানিয়েছেন। তাৎক্ষনিক তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি এম.পলাশ শরীফ গনেশ পাল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.