কয়েকটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে চীনের নাগরিকরা
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুইডিশ রিটেইল ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএমসহ জনপ্রিয় কয়েকটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন চীনের নাগরিকরা।
সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনে উদ্বেগ জানিয়ে করা পুরনো এক বিবৃতির জেরে জনরোষে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উইঘুর নির্যাতনের বিষয়টিকে গুজব ও শত্রুদের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছে।
জিনজিয়াং প্রদেশে তুলা উৎপাদনে উইঘুরদের অমানবিক কায়িক প্ররিশ্রম করানোর খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশের পর গত বছর এইচঅ্যান্ডএম গভীর উদ্বেগ তুলে ধরে জানায় তারা চীন থেকে পণ্য কেনা বন্ধ করেছে। সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনে উদ্বেগ জানিয়ে এইচঅ্যান্ডএম-এর করা এই পুরনো বিবৃতি সম্প্রতি আবারো আলোচনায় আসার পরপরই প্রতিবাদ শুরু করেছে চীনা নাগরিকরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চীনের সুনাম ক্ষুণ্ন করায় বিদেশী ব্র্যান্ডগুলোকে বয়কটের ডাক উঠেছে। তাদের অভিযোগের তীর এডিডাস ও নাইকির বিরুদ্ধেও।
এক চীনা নাগরিক বলেন, ‘গুজব রটিয়ে তারা চিনের পণ্য বয়কট করেছে, আবার ঠিকই চিনের বাজারে ব্যবসা করে মুনাফা করছে। কি ধুরন্দর তারা? জিনজিয়াং থেকে যদি তুলা নাকিনে তাহলে আমাদেরও উচিত তাদের পণ্য বয়কট করা। এটাই হবে ইটের জবাবে পাটকেল’ প্রতিদিনের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এইচ অ্যান্ড এমের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান এটা চীনের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্রের অংশ।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চানয়িং বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের একটা পুরানো ছবি যেখানে তুলা চাষে কৃষ্ণাঙ্গদের বাধ্যকরা হতো। আমি জিনজিয়াং এ তুলা চাষের ছবি অনলাইনে দেখেছি। সেখানে ৪০ শতাংশের বেশী তুলা স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তোলা হয়। তথাকথিত শ্রমিকদের জোর করার মতো কোনো ঘটনা সেখানে নেই। কিছু প্রতিষ্ঠান এ গুজব বিশ্বাস করেছে। যা তাদের নিজস্ব বিবেচনা । তবে আমি বিশ্বাস করি চীনা নাগরিকদের তাদের অনুভূতি ও মতপ্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে।’
সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি চীনা কয়েকজন সেলিব্রিটি ও দেশটির বড় কয়েকটি ই-কমার্স প্ল্যাটফরমও এইচঅ্যান্ডএম এর পণ্য বয়কট করেছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.