কয়লা স্বল্পতায় দিল্লিতে বিদ্যুত্সংকটের আশঙ্কা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কয়লার সংকট দেখা দেওয়ায় ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জরুরি সেবায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দিল্লির সরকার।
পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন একটি জরুরি সভা করেছেন এবং রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠিও দিয়েছেন।
দিল্লি সকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দাদরি-২ এবং আনচাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় অনেক অত্যাবশ্যকীয় প্রতিষ্ঠানে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে দিল্লি মেট্রো ও দিল্লির বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালও রয়েছে।’
সত্যেন্দর জৈন জানান, বর্তমানে দিল্লির মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মেটানো হয় ঐসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, এবং তারা কয়লা সংকটে রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং রাজধানীর কিছু অংশের বাসিন্দারা যাতে বিদ্যুৎহীন পরিস্হিতির মুখে না পড়েন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন।
দিল্লির বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, ‘দিল্লির কিছু এলাকায় পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়া ঠেকাতে এই বিদু্যত্কেন্দ্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন, হাসপাতাল ও নাগরিকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতেও এসব বিদ্যুৎন্দ্রের সচল থাকা অপরিহার্য।’
ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) দাদরি-২ ও ঝাজর (আরাভালি) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল মূলত দিল্লির বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর জন্য। কিন্তু এখন ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লার খুব মজুত একেবারেই কমে গেছে বলে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
দাদরি-২, আনচাহার, কাহালগাঁও, ফারাক্কা ও ঝাজর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দিল্লিতে দৈনিক ১ হাজার ৭৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সবচেয়ে বেশি ৭২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যায় দাদরি-২ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে, আর আনচাহার ববিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মেলে ১০০ মেগাওয়াট।
ভারতের জাতীয় বিদ্যুৎ পোর্টালের দৈনিক কয়লা মজুতের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রই কয়লার দারুণ সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রীষ্মের শুরুতে ব্যাপক গরমের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্যুৎসংকট চলছে। রেকর্ড বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ ঠিক রাখতে তাদের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.