ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব সরকারের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেব সরকারের বিরুদ্ধে খাসখতিয়ানভুক্ত সাড়ে তিন শতক জমি জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার  ১১নং বড় বালা ইউনিয়নের হাছিয়া ছড়ান মৌজার ছড়ান বালুয়া বাজারে।
সরেজমিনে জানা যায়, ইউনিয়নের মৃত মানিক মিয়ার পুত্র বিপ্লব হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাবার পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন। জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় অবস্থান করেন তার পরিবার।
হঠাৎ করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেব সরকার তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ ও দখল করে সেখানে  টিন সেড বিল্ডিং দোকানঘর তথা ইটের তৈরী দোকানঘর ভাড়া দিয়ে টাকা আদায় করেন এবং সম্প্রতি ইউপির গেট তৈরীর জন্য পিলার স্থাপন করেন।
তবে সরেজমিনে, জমির কাগজপত্র থেকে জানায়,  এস.এ রেকর্ডভূক্ত ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত মৌজা-হাছিয়া ছড়ান,দাগ নং-সাবেক ৫৫২, হাল দাগ নং-১১৭৩, জমির পরিমাণ ০.৫০ একর এমাজ উদ্দিন সরকার, পিতা-মৃত বছির উদ্দিন সরকার,সাং-কৃষ্ণপুর, ডাকঘর-শাল্টি গোপালপুর, মিঠাপুকুর,রংপুর নামে সিও কেস নং-১২-১৯/৬৭-৬৮ ও এস.ডিও কেস নং-১২-৯৩/৬৭-৬৮ মূলে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে বন্দোবস্ত গ্রহীতা এমাজ উদ্দিনের মৃত্যুবরণ করায় তাহার পুত্র মৃত আব্দুর রহমানকে ০৭-১০-১৯৮৯ ইং তারিখে ১৫,১২২ নং দলিল মূলে মৃত মানিক মিয়া বরাবরে তফশিল বর্ণিত সম্পতি হেবাবিল এওয়াজ নামামাত্র দলিল মূলে হস্তান্তর করেন। আর.এস রেকর্ডে দলিল মোতাবেক মৃত মানিক মিয়া আর.এস খতিয়ান নং-৫৭৪,৫৭৬,২৬৪ জমির পরিমাণ সাড়ে তিন শতক তফশিল বর্ণিত দাগে রেকর্ড প্রদান করা হয়।
অবশিষ্ট সম্পত্তি মানিক মিয়া মৃতুর পূর্বে তার সন্তানের  কাছে হস্তান্তর করেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই সম্পতি বিপ্লবদের প্রাপ্য কারণ তাদের নিখুঁত কাগজ আছে। তার দাদার বাপের এই সম্পত্তি তারা ভোগ দখল করছে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে ।
এব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেব সরকার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে- প্রথমে এ ব্যাপারে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি পরে তিনি উক্ত সম্পত্তি ইউনিয়ন পরিষদের দাবী করেন।
ছড়ান ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ছড়ান বাজারের হাছিয়া ছড়ান মৌজার সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পতির তিন দাগে মৃত মানিক মিয়ার নামে সাবেক ও বর্তমান রেকর্ডে সাড়ে তিন শতক জমির উল্লেখ আছে। এই সাড়ে তিন শতাংশ জমি মানিক মিয়ার ওয়ারিশগণ পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ কোন ক্রমেই হস্তক্ষেপ করতে পারেন না কারণ, ইউনিয়ন পরিষদ এর হাল দাগ নং ১১৭৪ এবং মৃত মানিক মিয়ার সাড়ে তিন শতক জমির হাল দাগ ১১৭৩ যাহা সম্পূর্ণ আলাদা।
তবে এবিষয়ে আদালতে ১টি মামলা চলমান রয়েছে।
পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া  খাসখতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বিপ্লব ও তার পরিবার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.