ক্রোয়াটদের ২৮ বছরের অপেক্ষা

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ফিফার বড় টুর্নামেন্টগুলোতে ক্রোয়েশিয়া সবসময় ফেভারিট। খুব যে খারাপ করে, তাও নয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার চমকও দেখায় তারা। কিন্তু তীরে গিয়ে তরী ডোবানোর আক্ষেপ তাদের বহুবার পুড়িয়েছে। সেটা যেমন বিশ্বকাপে, তেমনি ইউরোতে।
১৯৯৬ সালে প্রথম ইউরোতে অংশ নিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। সেবার তারা এক দৌড়ে কোয়ার্টার পর্যন্ত যায়।
এর পর অনেক দিন আর সেই ঝলক দেখাতে পারেনি। সব শেষ ২০০৮ সালে আবার কোয়ার্টারে নাম লেখায় দলটি। এর পর আর সামনে এগোতে পারেনি। এবার তাদের আরেকটি সুযোগ।
এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো ইউরোতে অংশ নিচ্ছে ক্রোয়াটরা। এবার যদি সেই অপেক্ষার অবসান হয়! আজ থেকে শুরু সেই মিশন, যেখানে যাত্রাতেই কঠিন পরীক্ষা। তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে মোকাবিলা করতে হবে তাদের।
তরুণ আর অভিজ্ঞতার মিশেলে দারুণ একটা দল গড়েছে স্পেন। এবার তাদের সম্ভাবনাও বেশ। বার্লিনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বাধা ভাঙতে চাইবে স্প্যানিশরা। তবে ক্রোয়েশিয়া যদি প্রথম দফায় স্পেনের আশার ভেলাতে আঘাত হানতে পারে, তাহলে হয়তো ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারে।
সেটা হয়তো মডরিচ-প্যারিসিসদের জন্য এগিয়ে যাওয়ার বড় প্রেরণাও হবে। যদিও অভিজ্ঞতা কিংবা দক্ষতা বিচার করলে স্পেন খানিকটা এগিয়ে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে। তারা নিজেদের ১২তম ইউরো খেলতে যাচ্ছে। যার মধ্যে তিনটিতে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। আবার স্পেনই একমাত্র দেশ, যারা কিনা ব্যাক টু ব্যাক ইউরোর শিরোপা জিতেছিল। সেই সব সুখস্মৃতি নিয়ে রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জেতায় চোখ স্পেনের।
সেই মিশনে তাদের সারথি হতে পারেন লামিনে ইয়ামাল, হোসেলু, পেদ্রি কিংবা রদ্রির মতো চেনা খেলোয়াড়রা। তা ছাড়া স্পেনের একটা ভয়ংকর শক্তি ডি বক্সে প্রতিপক্ষকে সহজেই কাবু করে ফেলা।
ইউরোতেও সেই কাজটা বেশ মন দিয়ে করেন স্পেনের ফুটবলাররা। যে প্রতিযোগিতায় নিজেদের শেষ ৫০ গোলই ডি বক্সের ভেতর থেকে করেছে স্পেন। যে কাজটি মোটেও সহজ নয়। কারণ প্রতিপক্ষ ডি বক্সে যখন আক্রমণের নিশানা লাগানো হয়, তখন তাদের ১০ থেকে ১১ জন খেলোয়াড়ই হাজির হয়ে যান। সেই বাধা টপকে জালে বল পাঠানো চাট্টিখানি কথা নয়। অথচ এই কাজটাই নিয়মিত করে যাচ্ছে স্প্যানিশরা।
মূলত পার্সিং ফুটবলের নিখুঁত এক বাহার দেখিয়ে গত কয়েক বছরে স্পেন ছড়িয়েছে মুগ্ধতা। যেখানে ক্রোয়েশিয়াও যে খুব বেশি পিছিয়ে, সেটাও বলা যাবে না। তাদের মাঝমাঠ বেশ গোছানো। সেই সঙ্গে চোখজুড়ানো সব পাসের সঙ্গে হুটহাট কাউন্টার অ্যাটাক যে কোনো দলের জন্য হতে পারে বড় বিপদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.