বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাডমিন্টন বা টেনিস খেলতে যেমন ফিটনেসের প্রয়োজন হয়, সে তুলনায় ক্রিকেটে ফিটনেসের প্রয়োজনীয়তা বেশ কম বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল। ক্রিকেটে ফিটনেসের চেয়ে স্কিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মত তার।
সম্প্রতি নিখিল সিমহা পডকাস্টে গিয়ে সাইনা বলেন, ‘সবাই জানতে চান যে সাইনা কী করছে, কুস্তিগিররা কী করছে, নীরাজ চোপড়া কী করছে। সকলেই এই ক্রীড়াবিদদের জানেন। কারণ আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে গিয়েছি। আমরা খবরে থেকেছি। আমি সেটা করেছি। আমি যে ভারত থেকে (সেই সাফল্য অর্জন করেছি), সেটা স্বপ্ন মনে হয়। যে দেশে খেলাধুলোর সংস্কৃতিটুকুও নেই।’
ভারতে ক্রিকেটের তুলনায় অন্য খেলাগুলো যে অবহেলিত সেটা বুঝাতে গিয়ে এই অলিম্পিক পদকজয়ী ক্রীড়াবিদ যোগ করেন, ‘কখনো কখনো আবার খারাপ লাগে যে ক্রিকেটই সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। ক্রিকেটের ব্যাপারটা হল যে, আপনি যদি ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, টেনিস এবং অন্যান্য খেলোধুলো দেখেন, তাহলে দেখবেন যে শারীরিকভাবে কতটা কঠিন হয় সেটা। শাটলটা তুলে সার্ভ করার মতোও সময় থাকে না। আপনি হাঁপাতে থাকেন। যে ক্রিকেট এত আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে, তাতে দক্ষতাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় আমার।’
সাইনার এমন মন্তব্য শুনে খেপেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাদের অভিমত, সাইনা ক্রিকেট খেলাটাকে তুচ্ছজ্ঞান করেছেন। সাইনার মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ হয়ে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘ক্রিকেট এতটাই সহজ? সুইং বোলিংয়ের সামনে ব্যাট করা বা ঘণ্টায় ১৫০ কিমির বলের সামনে ব্যাটিং করা এতটাই সহজ?’
অপর এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আপনার কথার সঙ্গে কিছুটা একমত। কিন্তু ব্যাডমিন্টন বা টেনিস পর্যাপ্ত সমর্থন পাচ্ছে না বলে আপনি অন্য খেলার সমালোচনা করতে পারেন না।’
অন্য এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘সাইনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি ভুল বলেছেন। উনি বোঝাতে চেয়েছেন যে ক্রিকেট কঠিন খেলা নয়। স্টার্কের ১৫০ কিলোমিটার গতির বলের সামনে ব্যাটিং করা সহজ নয়। ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আড়াই দিন বা দুই দিন ফিল্ডিং করা সহজ নয়। ভারতে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ক্রিকেট চালানো হয়। ব্যাডমিন্টন বা অন্যান্য খেলায় ব্যক্তিগত ব্যাপার চলে আসে। সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। খেলোয়াড় বা খেলার বিরুদ্ধে লড়বেন না।’
সাইনার মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্স-এ করা এক পোস্টে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলা ক্রিকেটার অংক্রিশ রঘুবংশী লিখেছেন, ‘দেখি বুমরার ১৫০ কিলোমিটার গতির বাউন্সার তিনি (সাইন নেহওয়াল) কীভাবে সামাল দেন।’
পরে অবশ্য সে পোস্ট মুছে দিয়ে অপর এক পোস্টে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এই ক্রিকেটার। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.