ক্রমশ সমুদ্র’র নিচে তলিয়ে যাচ্ছে দেশটি

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কমাত্র ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যেই এই রাষ্ট্রটি চলে যাবে সম্পূর্ণরূপে পানির নিচে। একথা এখানকার প্রধানমন্ত্রী নিজেও ২০১৮ সালে স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এই দেশটির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। দেশটির নাম হল তুভালু, ওশেনিয়ার ছোট একটি দ্বীপ রাষ্ট্র।
তুভালুর প্রাচীন লোকেদের বলা হতো পলিনেশিয়ানস। রাজধানী রয়েছে ফুনাফুটিতে, এখান থেকেই চলে রাষ্ট্রের সমস্ত সরকারি কাজ। তুভালু ১৯৭৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হয়েছিল। এই দেশের আশেপাশে কোনো নদী নেই। খাবার পানি হিসাবে মানুষ ব্যবহার করে ঝরনা আর কূপের পানি। কিন্তু কূপের পানি আর বর্তমানে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এই ছোট দেশটি সমুদ্র থেকে মাত্র ৪ – ৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। তাকে একে বলা হয় নিচু জমি। নোনা জমির কারণে এখানে সে ভাবে চাষাবাদ হয় না। শুধুমাত্র নারকেল আর কলা চাষ হতে দেখা যায়। এখানকার মানুষরা মূলত মুরগি আর বিভিন্ন সামুদ্রিক ছোটো প্রাণী পালন করে থাকে। এখানে সবজির দাম বেশি, সস্তায় মাছ পাওয়া যায়।
জাতিসংঘের তরফ জানানো হয়েছে , বৈশ্বিক উষ্ণতার শিকার তুভালু। সমুদ্রের লবনাক্ত পানির স্তর দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে বসবাসকারী মানুষের শরীরে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা বা ব্রেন স্ট্রোকের মতো সমস্যা।
প্রতিবছর গড়ে তুভালুর ৩.৯ মিলিমিটার জমি ডুবে যাচ্ছে সমুদ্রে। বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা সমুদ্রের ভয়ঙ্কর পরিবর্তন লক্ষ্য করছে। খাবার পানির ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে একমাত্র বৃষ্টির পানি। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ থাকলেও এখানে খুব কম পর্যটক ঘুরতে আসে।
সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত এখানকার সমস্ত জনগণদের সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.