কোহলিকে ছাড়িয়ে বাবরের সিরিজ উৎসব

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: আগের ম্যাচে বিরল এক ‘ডাক’ মেরেছিলেন।ক্যারিয়ার জুড়ে বাবর আজমের যে অসাধারণ ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন, তাতে তিনি যে রানে ফিরবেন তা অনুমিতই ছিল। পাকিস্তান ক্যাপ্টেন শুধু রানেই ফিরলেন তা-ই না, খেললেন ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস। তার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ হারের শঙ্কায় থাকা পাকিস্তান দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করল স্বস্তির সিরিজ জয়।
গতপরশু রাতে ডাবলিনে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্য ছয় উইকেট আর তিন ওভার হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান। ৪২ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে সফরকারীদের জয়ের ভীত গড়ে দেন বাবর। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩৮ বলে ৫৬ রান) এদিনও ফিফটি তুলে বাবরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। দাপুটে এ জয়ের তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল পাকিস্তান।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করে বিরাট কোহলিকে স্পর্শ করেছিলেন বাবর, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আরেক ফিফটিতে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন ভারত তারকাকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটি স্পর্শ করা ইনিংস এখন পাকিস্তান অধিনায়কের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ৩৯ বার পঞ্চাশ স্পর্শ করেছেন তিনি। কোহলির ফিফটি স্পর্শ করা ইনিংস ৩৮টি। দুজনেই ম্যাচ খেলেছেন ১১৭টি করে। এরমধ্যে কোহলির ফিফটি ৩৭টি, সেঞ্চুরি একটি। বাবরের ফিফটি ৩৬টি হলেও সেঞ্চুরি করেন ৩টি।
আগের দুই ম্যাচের মতো না হলেও এদিনও আগে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশরা চ্যালেঞ্জিং স্কোরই দাঁড় করিয়েছিল। ওপেনার রস অ্যাডাইর (৭) দ্রুত ফিরলেও অ্যান্ডি বলবার্নিকে সঙ্গে নিয়ে দ্রত রান তোলেন অধিনায়ক টাকার। দুজনের ৪৯ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো জুটিতে ১১তম ওভারেই দলকে ১০০ রান তুলে ফেলে আইরিশরা। বলবার্নি (৩৫) টাকার এগিয়ে নিয়ে যান স্বাগতিকদের। তবে ৪১ বলে ৭৩ রান করে আইরিশ ক্যাপ্টেন ফিরতেই থেমে যায় রানের গতি। তার অসাধারণ ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩ চার ও এক ছক্কায়। টাকার আউট হওয়ার পর শেষ ৩৮ বলে চার উইকেট হারিয়ে কেবল ৪৫ রান তুলতে পারে আয়ারল্যান্ড। বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখান ম্যাচসেরা শাহিন আফ্রিদি। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট।
১৭৮ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে সাইম আইয়ুবের (১৪) উইকেট হারালেও পাকিস্তাননের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। বাবর ও রিজওয়ান মিলে দ্বিতীয় উইকেটে রান তুলতে থাকেন দ্রুত। রিজওয়ান টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে ৩৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ৫৬ রান। তবে দুজনের মধ্যে আগ্রাসী ভূমিকায় ছিলেন মূলত বাবর। ৪২ বলে তার ৭৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও ৫ ছক্কায়। ৭৪ বলে এ দুজনের ১৩৯ রানের বিস্ফোরক জুটিতে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আয়ারল্যান্ড। শেষ ৩০ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। রিজওয়ান, বাবর ও ইফতেখার আহমেদ দ্রুত ফিরলেও পাকিস্তান তিন ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
এই সিরিজের পরও এখনো বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি পাকিস্তান। ২০ দলের মধ্যে একমাত্র তারাই বিশ্বকাপ দল দেয়নি। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের আরেকটি টি-টোয়োন্টি সিরিজ আছে বাবরদের। তবে সেই সিরিজ পর্যন্ত অপেক্ষা করার উপায় নেই। দল দিতে হবে ২৫ মের মধ্যে। ২২ মে থেকে শুরু হওয়া প্রথম ম্যাচটি দেখতে পারে তারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.