কোম্পানীগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় দুই চেয়ারম্যানের হট্টগোল

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় দুই ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জেরে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এদের একজন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকীন রিমন ও অন্যজন মেয়র কাদের মির্জার অনুসারী মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা চলাকালে এ হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ সব ইউপি চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তারা সভাকক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি জানান, মুছাপুরের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী কর্তৃক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ফেসবুকে ‘কটূক্তি’ এবং ছোটফেনী নদী থেকে বালু উত্তোলন নিয়ে প্রতিবাদ করেন রামপুরের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকীন রিমন। এসময় উভয়ের মধ্যে কথা বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ আসন থেকে উঠে গিয়ে তাদের গণ্ডগোল থামান।
রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকীন রিমন বলেন, আমি কারও নাম উচ্চারণ না করে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে মুছাপুরের চেয়ারম্যান উচ্চবাচ্য করলে আমি সেটার কাউন্টার দিয়েছি।
মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, আমাদের মধ্যে যে ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে তা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও স্যারের মধ্যস্থতায় মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এতে দেখা যায়, মুছাপুরের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলীর সঙ্গে অন্য ইউপি চেয়ারম্যানরা তর্কে জড়িয়ে কথা কাটাকাটি করছেন। এসময় রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকীন রিমন বারবার তার দিকে তেড়ে যেতে থাকেন। থানার কনস্টেবল সিফাত তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন উঠে এসে দুইজনকে দুইদিকে সরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেন, মুছাপুরে বালু উত্তোলন নিয়ে দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। পরে আমি উপস্থিত হয়ে তা মীমাংসা করে দিয়েছি এবং আমার কার্যালয়ে ডেকে দুইজনকে মিলমিশ করে দিয়েছি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবা উল আলম চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার একপর্যায়ে দুই চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ আমরা তা সমাধান করে দিয়েছি।
সভা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন উপজেলার আট ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে তার কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠক করে ওই দুজনের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝির মীমাংসা করে দেন। পরে তিনি সবাইকে মিষ্টি মুখ করান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ রানা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.