কোভিশিল্ডে ছাড় নেই ভারতীয়দের

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: আপতত থাকতেই হচ্ছে কোয়ারাইন্টেনে ভারতীয়দের। এমনটাই জানালো ব্রিটেনের ‘বরিস জনসন’ প্রশাসন। নয়া নিয়মে বৃটিশ প্রশাসন জানাচ্ছে,কোভিশিল্ড নেওয়া ভারতীয়দের ‘আনভেক্সিনেটেড’ বা টিকা না নেওয়া ধরা হবে। দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেও কোয়ারাইন্টেনে থাকতে হবে সেদেশে ঢোকার আগে। কোভিশিল্ড সিরাম ইন্সটিটিউট তৈরি করলেও আদতে তা ভ্যাকসিনটি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার। যার স্বীকৃতি বৃটিশ সরকার দেয় নি।
বৃটেনের নয়া নিয়মে বলা হয়েছে,ভারতীয় সহ যেসমস্ত যাত্রী স্বীকৃতি পাওয়া টিকা নেনে নি এবং শংসাপত্র নেই তাঁদের বৃটেনের আন্তর্জাতিক ট্রাভেল বিধি অনুযায়ী ভ্রমণের আগে কোভিড টেস্ট করাতে হবে এবং বৃটেনে ঢোকার দু-দিন ও আট-দিন পর আর টি পি সি আর পরীক্ষা করাতে হবে। তারপর দশ দিন আইসোলেশানে থাকতে হবে।
এরই প্রতিবাদ করে ‘বর্ণবিদ্বেষমূলক ‘আখ্যা দিয়েছেন প্রাক্তন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাননীয় জয়রাম রমেশ ও শশী থারুর। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন বৃটেনের এই দুমুখো নিতি বর্ণবিদ্বেষকেই উস্কানি দিচ্ছে। বৃটেনের তৈরি এবং পুনের সিরাম ইন্সটিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ডকে এই তালিকায় বিবেচনা করা অত্যন্ত অশোভন। কেননা সিরাম বৃটেনেকেও এই টিকা সরবরাহ করেছে। এটা বর্ণবিদ্বেষের বড় নজির। এই ভাবে আনভেক্সিনেটেড ধরা এবং আইসোলেশানে পাঠানো অপমান জনক।
পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে নভেম্বর থেকে বিদেশীরা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন মূলত বৃটেন এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ গুলোর কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত তবে ভারত ও তার মধ্যেই চলে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
এদিকে আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি হবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কোভিড নিয়ন্ত্রণে এবং বিশ্ব পরিবেশ নিয়ে দুই রাষ্ট্র নেতার আলোচনা হওয়ার কথা।
টিকাকরণে ঘর সামলে ফের ভ্যাকসিন রপ্তানি করবে ভারত। এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন,আগামী মাস থেকে রপ্তানি ও অনুদান দুটোই চালু করা হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দায়বদ্ধতা মেনে সরকারের ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী ‘কর্মসূচীর মাধ্যমে এই রপ্তানি করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.