কোভিড মৃত্যুতে পঞ্চাশ হাজার

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: কোভিড মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ নিয়ে অনেক বার দেশের শীর্ষ আদালত বলা সত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শীর্ষ আদালত কড়া মনোভাব প্রকাশ করেন।
এই মর্মে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে হলফনামা পেশ হয়। এগারো পাতার এই হলফনামায় বলা হয় ,এখন থেকে কোভিডে মৃত্যু হলে বা কোভিড ত্রাণে কেউ মারা গেলে প্রত্যেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে রাজ্যের আপতকালীন তহবিল বা ডিজাজস্টার ম্যানেজমেন্ট ফাণ্ড থেকে।
গতকাল বুধবার এই হলফনামায় আরও বলা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ডিজাজস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির গাইড লাইন অনুযায়ী সরাসরি কোভিড মৃত্যতো বটেই করোনা ত্রাণের সাথে যুক্ত কেউ মারা গেলে সেই পরিবার ও ক্ষতিপূরণ পাবে। থাকতে হবে কোভিড উল্লেখিত ডেথ সার্টিফিকেট।ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় চার লক্ষ পয়ঁতাল্লিশ হাজার।
জেলাস্তরে ডিজাজস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির কাছে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে আবেদন করার তিরিশ দিনের মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা চলে যাবে। উল্লেখ্য কোভিড ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত এই মামলায় বুধবার হলফনামা দিলেও কেন্দ্র সব রাজ্যের মুখ্য সচিবদের গত ১১ই সেপ্টেম্বর গাইড লাইন সংক্রান্ত চিঠি আগেই পাঠায়।
এই মামলায় গত ৩০শেজুন কেন্দ্রকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত গাইড লাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন সেটিই আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্র। কোভিড মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ সমেত চার লক্ষ টাকা দাবি উঠেছিল। তারই ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় একটা সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন তৈরির।
সংক্রমণের গোড়ার দিকে কেন্দ্র এক নির্দেশে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানায় কিন্তু মৃত্যু বাড়তে থাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য দফতর সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে।
প্রশ্ন উঠছে আর্থিক ক্ষতিপূরণ রাজ্যের ডিজাজস্টার ম্যানেজমেন্ট তহবিল থেকে কেন যাবে? এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ সরকারের কাছে থাকতে হবে। নতুন করে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।
সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে কোভিড সংক্রান্ত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার অনেক খরচ করছে যদিও বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ হলেও কোভিডে মৃতের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ও রাহা খরচ দেওয়া সম্ভব নয় আর যেভাবে মৃত্যু বেড়ে চলেছে তারওপর কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েণ্ট কতটা আগ্রাসী হতে পারে কারও জানা নেই এই অবস্থায় দাড়িয়ে রাজ্য সরকারের ডিজাজস্টার ম্যানেজমেন্ট ফাণ্ডকে ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে মাননীয় মন্ত্রী শ্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন,করোনা মোকাবিলায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আলাদা ফাণ্ড করেছেন নিয়েছেন একাধিক পদক্ষেপ। উল্টোদিকে কেন্দ্রর কাছ থেকে আমরা প্রাপ্য টাকা পাই না,সব কিছু রাজ্যের ওপরে চাপিয়ে দিলে চলবে কি করে? একই প্রশ্ন কেরলের মাননীয় মুখ্য মন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.