কোন খোসার কী গুণ জেনে নিন
বিটিসি নিউজ ডেস্ক: ফল, সবজি তো সকলেই খাই, কিন্তু কেবল ফল বা সবজিই নয়, তার খোসাতেও থাকে নানা পুষ্টিগুণ। খনিজ ও ভিটামিনের জোগান দিতে এগুলিও নানা ভাবে কাজে আসে। রান্না হোক বা রূপটান, ঘরোয়া কাজ হোক বা গৃহস্থালীর নানা কাজে আসবে এই খোসা। জানলে এ সব খোসা আর কখনও ফেলবেন না।
আলুর খোসা: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আলুর খোসা দিয়ে হালকা তেলে ভেজে এক ধরনের তরকারি বানানো যায়। তার স্বাদ যেমন অনবদ্য, তেমনই ভিটামিন সি-এর উপকারও পাওয়া যায়। শুধু রান্না নয়, রূপচর্চাতেও এই খোসার ব্যবহার হয়। চোখের নীচের কালি সরাতে এর ভূমিকা বিরাট। আলু কেটে তার খোসাগুলি ফ্রিজে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। ঠান্ডা খোসাগুলিকে চোখের উপর ধরে রাখুন। চোখ বুজে থাকুন কিছু ক্ষণের জন্য। মিনিট ১৫ পর ধুয়ে নিন জল দিয়ে।
কলার খোসা: খোসা দিয়ে নতুন পদ রান্না থেকে জুতোর যত্ন, সব কিছতেই ভেল্কি দেখাতে পারে কলার খোসা। জুতো থেকে দাগ তুলতেও কলার খোসাকে ব্যবহার করা যায়। পাকা কলার খোসার ভিতরের অংশ জুতোর উপরে ঘষুন কিছুক্ষণ। তার পর পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিন জুতো। দাঁতের হলুদ ভাব কাটাতেও কলার খোসা কাজে লাগে। প্রতিদিন সকালে কলার খোসার ভিতরের অংশ দাঁতে ঘষুন কিছুক্ষণের জন্য। এরপর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। সপ্তাহখানেকে দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।ত্বকের যত্নে এই খোসা অত্যন্ত উপযোগী। কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে মাখলে মুখের কালো দাগ বা বলিরেখা দূর হবে সহজে।
লেবুর খোসা: লেবু খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন? এমন ভুল আজ থেকে আর নয়। খোসা শুকিয়ে নিন রোদে। এ বার তা গুঁড়ো করো রেখে দিন কোনও এয়ার টাইট পাত্রে। দুধ, মধু ও ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে একটা ফেস মাস্ক তৈরি করে ফেলুন। ত্বক থেকে তেল সরাতে, মুখে আলাদা জেল্লা আনতে এই মাস্ক খুব উপকারী।বইয়ের আলমারিতে শুকনো লেবুর খোসা রাখলে পোকামাকড়ের উপদ্রব ঠেকানো যায়।মশা-মাছি-সহ অন্যান্য কীট-পতঙ্গের আনাগোনা যেখানে বেশি, সেখানেও রাখুন এটি। লেবুর খোসা অম্বল বা গা বমি ভাব কাটাতেও কাজে আসে।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.