কোন উপসর্গ বলে দেয় ওমিক্রনে আক্রান্ত

বিটিসি হেল্থ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। অবশ্য কোভিডের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ নিয়ে মত পার্থক্য আছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল যে ওমিক্রনের উপসর্গও আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর মতোই। কিন্তু এবার কোভিড নিয়ে গবেষণারত বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বেশ কিছু আলাদা উপসর্গও রয়েছে ওমিক্রনের।
এমন একটি উপসর্গর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যেটিকে ওমিক্রনের প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। কারণ এই প্রজাতি আরটিপিসিআর টেস্টে ধরা পড়ছে না। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে মাত্র।
সমীক্ষার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, সব ওমিক্রন আক্রান্তেরই গলায় সমস্যা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক ডিসকভারি হেলথের প্রধান নির্বাহী রায়ান নোয়াক জানিয়েছেন ওমিক্রনের উপসর্গ অত্যন্ত মৃদু।
তবে গলায় কোনো অস্বস্তি, কাশি, হালকা জ্বর, ক্লান্তি এসব লক্ষণ থাকছে। ওমিক্রন সংক্রামিত রোগীর ভীষণ ক্লান্তি, গলা ব্যথা, পেশি ব্যথা এবং শুকনো কাশির মতো সমস্যা রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে এর লক্ষণগুলো আলাদা, দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (সামা) প্রধান ড. এঞ্জেলিক একথা জানিয়েছেন।
এদিকে, শরীরের বাড়তি মেদে লুকিয়ে থাকতে পারে করোনা। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল, ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে তেমনই গবেষনামূলক রিপোর্ট। ওমিক্রন উদ্বেগের মধ্যেই নতুন এই গবেষণা নিয়ে চিকিৎসকরা বলছেন যারা মোটা, তাদের ঝুঁকি বেশি থাকছে, একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম কাজ করছে তাদের।
গেলো অক্টোবরে কয়েকজন স্থূলকায় মার্কিন নাগরিকের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাদের সেই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ল্যানসেটে।
যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের অতিরিক্ত ওজন, তাদের শরীরে থাকা মেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস! চিকিৎসা করলেও লুকিয়ে থাকা ওই ভাইরাসের ওপর তার কোনো প্রভাব পড়ে না! #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.