কোটা আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য: পররাষ্ট্রনীতি আমি অনেকের চেয়ে ভালো জানি, দিল্লিকে পাল্টা তোপ মমতার

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। ঢাকার আপত্তির পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে মমতাকে সতর্ক করেছিল। তবে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাবে মমতা বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতি আমি অনেকের চেয়ে ভালো জানি।
ধর্মতলায় গত ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অশান্ত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সনদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকারই বলবে।
মমতার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতাকে কড়া বার্তা দিয়েছিল দিল্লি। এর আগে, বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিল ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আমরা একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি। আপনারা রিপোর্টে যেমনটা দেখেছেন, খানিকটা সে রকমই।
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, বিদেশ সংক্রান্ত সব বিষয় এবং অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত সব বিষয়ের এখতিয়ার একমাত্র ভারত সরকারের। বিষয়টি যৌথ তালিকায় নেই। আর অবশ্যই রাজ্যের তালিকায় নেই। আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট, সাংবিধানিক এখতিয়ারের বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
এবার সেই বিতর্কের জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দিল্লিতে দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি। আমি সাতবারের সাংসদ, দুবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। পররাষ্ট্রনীতি অন্য কারও চেয়ে আমি ভালো জানি। তাদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। বরং সঠিক নিয়মগুলো তাদেরই শেখা উচিত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.