কৈশোরের স্মৃতিই অনুপ্রেরণা তুরস্কের খেলোয়াড়দের

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে যাদের হাত ধরে ছুটে চলেছে তুরস্ক, দেড় দশক আগে এই খেলোয়াড়েরা ছিলেন কিশোর। কৈশোরের সেই সুখময় স্মৃতিই এখন আওড়াচ্ছেন দেমিরাল-ককচুরা। আওড়াবেনই তো! ইউরোর আঙিনায় তুরস্কের সেরা গল্পটা তো ১৬ বছর আগে, ২০০৮ সালের আসরেই লেখা।
সেবার সেমি-ফাইনাল খেলেছিল তুরস্ক। এবারের আসরের স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে থেমেছিল পথচলা। কিন্তু সেই স্মৃতি তুরস্কের বর্তমান দলের পাথেয়।
বার্লিনে আগামীকাল শনিবার কোয়ার্টার-ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে শেষ ষোলোয় দারুণ চমক দেখিয়ে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে আসা তুরস্ক। এখন দলটির খেলোয়াড়দের চোখে ২০০৮ কীর্তির পুনরাবৃত্তির স্বপ্নের আঁকিবুকি।
মিডফিল্ডার ওরকুন ককচুও ডাচদের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে পেড়ে বসলেন কৈশোরের সেই উচ্ছ্বাসের গল্প। সেবার কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েছিল তুরস্ক।
“২০০৮ সালে আমরা বয়স ছিল মাত্র সাত বছর, কিন্তু আমার ম্যাচগুলোর কথা খুব ভালোভাবে মনে আছে। পরিবারের সঙ্গে বসে আমি ও আমার ভাই ম্যাচগুলো দেখার সময় দিবাস্বপ্ন দেখতাম।”
“ম্যাচগুলো জয়ের পর…আমরা একত্র হতাম এবং উদযাপন করতাম। এখন ইন্টারনেটে সেই ছবিগুলো দেখতে পারা খুবই গর্বের একটা অনুভূতি।”
সেবার পর্তুগালের বিপক্ষে হেরে গ্রুপ পর্ব শুরুর পর সুইজারল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রকে হারিয়ে শেষ ষোলোর মঞ্চে উঠেছিল তুরস্ক। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর পর সেমি-ফাইনালে ফিলিপ লামের শেষ দিকের গোলে জার্মানির কাছে হেরেছিল তারা।
এবার শেষ ষোলোয় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে তুরস্কের পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল কম। কেননা, গত মার্চেই প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রিয়ার কাছে ৬-১ গোলে স্রেফ বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা; কিন্তু মেরিহ দেমিরালের জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানের জয় তুলে নেয় তুর্কিরা। সামনে এবার প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।
বার্লিনে ডাচদের বিপক্ষে ককচু অবশ্য কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় খেলতে পারবেন না। তবে বললেন, দলের জন্য ঠিকই গলা ফাটাবেন তিনি।
“আমি নিষিদ্ধ হয়েছি, কিন্তু বাইরে থেকে অবশ্যই দলকে সাহায্য করব।” #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.