কেসিসি নির্বাচন পরবর্তী অব্যাহত সহিংসতায় মহানগর বিএনপির উদ্বেগ

খুলনা ব্যুরো : কেসিসি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত থাকা এবং পুলিশের নিস্ক্রিয় ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। রোববার এক বিবৃতিতে মহানগর বিএনপি নেতারা বলেন, ভোট ডাকাতি ও নজিরবিহীন জালিয়াতির নির্বাচন শেষ হওয়ার সাথে সাথে সব ধরনের হানাহানি, সংঘাত, সংঘর্ষ, হুমকি-আস্ফালন, হামলা, মামলা, নির্যাতন বন্ধ হবে বলে আমরা আশা করেছিলাম। কিন্ত বাস্তবে এ সব অনাচার বন্ধ না হয়ে বরং কোথাও কোথাও তা সীমা ছাড়িয়েছে।

২৫ মে শুক্রবার সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী বর্তমানে ২১ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগ নেতা কালা কচি একই ওয়ার্ডের শ্রমিক দল নেতা কামাল হোসেনকে ধরে নিয়ে বেদম পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে চুরির মামলায় আসামী হিসেবে চালান করা হয়। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের হুকুমে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনা ছাড়াও নির্বাচন উত্তর সহিংসতার ঘটনা হিসেবে প্রতিপক্ষের ওপর এসিড হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর, গুলি বর্ষণ, অব্যাহত পুলিশী তল্লাশি, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ শপথ করিয়ে আর কোনদিন বিএনপি না করার অঙ্গীকার আদায় সহ অমানবিক, বর্বরোচিত নানা ঘটনা ঘটছে। যে বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা থানা পুলিশের দ্বারস্থ হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন মামলা না নিয়েই তাদেরকে ফেরত যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রহমতের মাস হিসেবে চিহ্নিত পবিত্র মাহে রমজান শুরু হলেও বিরোধী মতাবলম্বী নেতাকর্মীরা জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। সিটি নির্বাচনের প্রাক্কালে পুলিশ ও ডিবির অভিযানে গ্রেফতার প্রায় ২০০ নেতাকর্মী জেলা কারাগারে মানবেতর দিন যাপন করছেন। তাদের পরিবার পরিজন অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় রয়েছে। বিবৃতিতে অবিলম্বে সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।

বিবৃতিদাতারা হলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, জলিল খান কালাম, স ম আব্দুর রহমান, রেহানা আক্তার, ফখরুল আলম, এডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.