কেসিসিতে ভাইয়ে ভাইয়ে ভোটযুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : ২০১৩ সালের ১৫ জুনের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন দু’ভাই। কেসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে বড়ভাই এসএম মোর্শেদ আহমেদ মনি প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ছোটভাই এসএম খোরশেদ আহমেদ টোনা বিজয়ী হন। এবার টোনাকেই আওয়ামীলীগ সমর্থন দিয়েছে। আর মনি সরে দাঁড়িয়েছেন নির্বাচন থেকে। তিনি এবার ছোট ভাইয়ের পক্ষেই প্রচারনা চালাচ্ছেন।

গতবার একটি ওয়ার্ডে ভাইয়ে ভাইয়ে ভোটযুদ্ধ হলেও এবার তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন আপন দু’ভাই। এরা হলেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মরহুম কাউন্সিলর শেখ শওকত আলীর ছেলে এবং গত ২৯ মার্চের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স(ঠেলাগাড়ি) ও তার ভাই মো: শামসুল আলম মিল্টন(মিষ্টি কুমড়া), ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো: আনিছুর রহমান বিশ্বাষ(ঘুড়ি) ও তার ভাই আতিকুর রহমান বিশ্বাস রুবেল(ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট) এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আলহাজ্ব ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না(ঘুড়ি) ও তার ভাই জুনায়েদ চৌধুরী(মিষ্টি কুমড়া)। এর মধ্যে অবশ্য ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রিন্সের পক্ষে তার ভাই মিল্টন ড্যামো প্রার্থী থাকছেন বলে প্রিন্স জানিয়েছেন। আর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ময়না বলেন, তার বংশের প্রার্থী জুনায়েদ চৌধুরী। যদিও হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তাদের দু’জনের পিতা-মাতা একই দেখা যাচ্ছে।

তবে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দু’ভাইয়ের মধ্যে বেশ আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছে। মঙ্গলবারও রুবেল বিশ্বাসের স্ত্রী গণসংযোগে বের হলে তাকে বাধা দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। আগেও তিনি তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অভিযোগ করে আসছেন। যদিও বর্তমান কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাস বলেন, এই শহরে তার একটি ক্লিন ইমেজ রয়েছে। কাউকে হুমকি দিয়ে তার বিজয়ী হওয়ার প্রয়োজন নেই। জনগন এমনিতেই তাকে ভোট দেবে বলে তিনি আশাবাদী।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.