কেরানীগঞ্জে চোর ধরতে গিয়ে খুন প্রকৌশলী সদরুল, গ্রেপ্তার-৩

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আরশিনগরে প্রকৌশলী সদরুল আলমের বাসায় চুরি করে গিয়ে তাকে খুন করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত আসামিরা। এ ঘটনার পর ভেন্টিলেটর চোর ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত তিন চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী সদরুল টের পেয়ে চোরকে ধরতে গেলে তাকে সুইচগিয়ার চাকু হত্যা করা হয়।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, আল-আমিন, মো. শুভ ও রিমন হোসেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, আসামি শুভ ভ্যান চালিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে তিনজন কেরানীগঞ্জ থানাধীন আরশিনগর এলকায় এসে উপস্থিত হয়। তারা চুরি করার জন্য পাশাপাশি বিল্ডিং আছে সিকিওরিটি গার্ড নাই এমন বাসা খুঁজতে থাকলে তাদের চোখে ইউনুস মিয়ার বাড়িটিকে সুবিধাজনক বলে মনে হয়। ভ্যান নিয়ে রিমন অপেক্ষায় থাকে এবং শুভ ও আল-আমিনকে বাসায় ঢুকার জন্য পাঠিয়ে দেয়। এরপর আল আমিন ভেন্টিলেটর ভেঙে চার তলার ভাড়াটিয়া প্রকৌশলী সদরুল আলমের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর শব্দ পেয়ে সদরুল আলমের ঘুম ভেঙে গেলে সে চোর চোর বলে আল-আমিনকে ধরতে যান। তখন আল-আমিন তাকে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে আসে।
পুলিশ সুপার বলেন, আসামি আল আমিনকে আরশিনগর এলাকা থেকে তার পকেটে থাকা একটি সুইচ গিয়ার চাকুসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সে একজন পেশাদার চোর, প্রতিদিন রাতে তার বন্ধু শুভ ও রিমনসহ একটি ভ্যানে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন অফিসে ঢুকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে। তাদের মধ্যে আসামি শুভ ও রিমন প্রায় ১০ বছর ধরে ভেন্টিলেটর ভেঙে চুরি করে আসছে। আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে শুভকে মোহাম্মদপুর থানাধীন লাউতলা এলাকা ভ্যানসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর থেকে রিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলাদা-আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদে রিমন ও শুভ অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার রহস্য উদঘাটন।
তিনি বলেন, প্রকৌশলী সদরুল আলম (৪০) কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আরশিনগর এলাকায় ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে একা বসবাস করতেন। গত ১২ আগস্ট রাতে অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পরেন। পরদিন সকালে বাসার মালিক মো. ইউনুস মিয়া একটি মানিব্যাগ পান। মানিব্যাগের ভেতরে থাকা সদরুল আলমের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলে তাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য তার রুমের সামনে গিয়ে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করতে থাকেন। রুমের ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না আসায় তিনি ৯৯৯ কল করেন। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নিহতের বড় বোন মোসা. রেবেকা সুলতানা রত্না বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জাহাঙ্গীর। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.