কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলি, নিহত বেড়ে অন্তত-৩০

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার ভারত মহাসাগর উপকূলবর্তী দেশ কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। কর বাড়ানোর বিতর্কিত আর্থিক বিল পাসের প্রতিবাদে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিসহ সারা দেশে ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার মানুষ। আর সে সময়ই এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কেনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ২৫ জুন (মঙ্গলবার) বিক্ষোভকারীদের ভিড়ের ওপর সরাসরি গুলি করে। এমনকি পালিয়ে যেতে উদ্যত হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছিল।’
এ সময় নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আফ্রিকা চ্যাপ্টারের পরিচালক ওতসিয়েনো নামওয়ায়া বলেছেন, ‘প্রতিবাদকারীরা পালানোর সময় ন্যায্যতা ছাড়াই সরাসরি ভিড়ের ওপর গুলি করা কেনিয়ার ও আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।’
এর আগে গত মঙ্গলবার কর বাড়ানোর বিতর্কিত আর্থিক বিল পাসের প্রতিবাদে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার মানুষ। এরপর পার্লামেন্ট ভবনে আগুন দেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের চালানো গুলিতে সেদিন ১০ জন নিহত হন।
কয়েক দিন আগে দেশটির পার্লামেন্টে নতুন একটি আর্থিক বিল পাস করা হয়। জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটে জর্জরিত দেশটির মানুষ নতুন এই কর বৃদ্ধির আইন বাতিলের দাবিতে শুরু করে আন্দোলন। তাঁরা দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। আইনটির প্রতিবাদে নাইরোবি ছাড়াও কেনিয়ার আরও কয়েকটি শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। 
কেনিয়ার ঋণের বোঝা হালকা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২৭০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যে নতুন আর্থিক বিল করতে চায় সরকার। দেশটির বার্ষিক রাজস্বের ৩৭ শতাংশই চলে যায় ঋণ শোধ করতে। রুটি, রান্নার তেল, গাড়ির মালিকানা এবং আর্থিক লেনদেনের ওপর প্রস্তাবিত নতুন কর বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার ইতিমধ্যে কিছু ছাড় দিয়েছে। কিন্তু প্রতিবাদকারীদের সন্তুষ্ট করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। তারা চায়, পুরো বিলটিই বাতিল করা হোক। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.