কেজরিওয়ালকে তিহার জেলে স্থানান্তর

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সোমবার তিহার জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে তাকে সেল নম্বর ২-এ রাখা হবে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এএনআই। আপাতত আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিহার জেলই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধানের ঠিকানা।
দিল্লির আবগারি মামলায় মামলায় তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আদালতে পেশ করে ১৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত আবেদন করেছিল।
দিল্লি আদালত কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজত ১ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।
কেজরিওয়ালের পাশের সেল, এক নম্বরে আছেন তার মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য মণীশ সিসৌদিয়া। আবগারি মামলাতেই মণীশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ ছাড়াও দিল্লির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন রয়েছেন সাত নম্বর সেলে। আর পাঁচ নম্বর সেলে আছেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ।
অন্যদিকে, ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেত্রী তথা তেলঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা কে কবিতার জন্য বরাদ্দ তিহারের নারী বিভাগের ছয় নম্বর সেল।
তিহারের অন্য বন্দীদের মতোই প্রতিদিন ভোর সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে কেজরিওয়ালকে। নাস্তায় তাকে দেওয়া হবে এক কাপ চা ও কয়েক টুকরো পাউরুটি। তারপর গোসল করতে পারবেন তিনি। গোসলের পর আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঘণ্টা দুয়েক সময় পাবেন কেজরিওয়াল। আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন থাকলেও যেতে পারবেন তিনি।
মোটামুটি অন্য বন্দীদের মতোই সুযোগ-সুবিধা পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাদের যা যা বিধি নিষেধ আছে, তাই বহাল থাকবে। তবে তিনি কিছু বাড়তি সুযোগও পাবেন। যেমন তার সেলে টিভির ব্যবস্থা থাকবে। সংবাদ, বিনোদন ও খেলাধূলাসহ ১৮ থেকে ২০টি চ্যানেল দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে কেজরিওয়ালকে। তার শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখতে সারাক্ষণ চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী থাকবে। বন্দী অবস্থায় তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্ততার করে ইডি। এর আগে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে নয় বার সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রতি বারই হাজিরা এড়িয়েছেন। গত ২১ মার্চ ছিল নবম বারের হাজিরার দিন। ইডি দপ্তরে না গিয়ে তিনি সেদিন হাইকোর্টে গিয়েছিলেন।
ওই দিন রাতেই দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মকর্তারা। ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশির পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতই ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কেজরিওয়ালকে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.