কৃষ্ণাঙ্গ নারী হত্যা’র জেরে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ , দুই কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ

(কৃষ্ণাঙ্গ নারী হত্যা’র জেরে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ , দুই কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ–ছবি: সংগৃহীত)

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলেতে কৃষ্ণাঙ্গ নারী ব্রেওনা টেইলর (২৬) মৃত্যুর ঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ না আনায় ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিক্ষোভ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

গত ১৩ মার্চ এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে পরিচালিত অভিযানে পুলিশের গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কর্মী ব্রেওনা টেইলর। পুলিশের দাবী, তাদের কাছে খবর ছিল ব্রেওনার সাবেক প্রেমিক, মাদক ব্যবসায়ী জামারকাস গ্লোভার এই ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্যাকেজ আদান-প্রদান করে।

গ্লোভারের নাম পুলিশের খাতায় থাকলেও ব্রেওনার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড ছিল না । এক বিচারকের দেওয়া ‘নো নক’ পরোয়ানার ভিত্তিতে পুলিশ দরজা ভেঙে ব্রেওনার ফ্ল্যাটে অভিযানের চেষ্টা করে।

গ্লোভার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে এমনটা মনে করে ওয়াকার তার নিবন্ধিত বন্দুক দিয়ে গুলি চালালে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে তাতে বিদ্ধ হয়ে ব্রেওনা হলওয়েতে লুটিয়ে পড়েন। তার শরীরে পাঁচটি গুলির ক্ষত পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ২৬ বছর বয়সী ব্রেওনা টেইলর হত্যাকাণ্ডে কেবল এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সামান্য অপরাধের অভিযোগ আনার পর লুইভিলের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেন বলে জানিয়েছে সিএনএন। কোথাও কোথাও তারা পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষেও জড়িয়েছেন।

ব্রেওনার আত্মীয়স্বজন এবং পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা মার্চে ব্রেওনার ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনার দাবি জানিয়েছিলেন।

ব্রেওনা টেইলর হত্যাকাণ্ডে পুলিশ সদস্যদের অভিযুক্ত করা হবে কিনা, এ বিষয়ক সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই শহরটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় গতকাল বুধবার সেখানে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়।

মেয়র গ্রেগ ফিশার রাত ৯টা থেকে পরদিন ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করলেও অনেক এলাকায় রাত ৯টার পরও হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের দেখা গেছে।

কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশীর পরে বিক্ষোভকারীদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ জানান।

আমরা জানি, সহিংসতার জবাব কখনোই সহিংসতা হতে পারে না। আমরা এখন ওই দুই কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কথা ভাবছি। আমি সবার প্রতি অনুরোধ করছি. দয়া করে বাড়ি ফিরে যান, বলেন তিনি।

এদিকে ব্রেওনা টেইলরের মৃত্যুতে কোনো পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যারত অভিযোগ না আনায় নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন, আটলান্টা এবং শিকাগোতেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.