কৃষকদের আশায় জল ঢেলে দিল ঝড়োবৃষ্টি : কৃষকদের জমিতে দোল খাচ্ছেনা কাঁচা-পাকা ও আধাপাকা ধান


নাটোর প্রতিনিধি: মাঠে ধানের ভাল ফলন দেখে উঠতি ফসল ঘরে তোলার আশায় বুক বেঁধেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিলো বুধবারের ঝড়োবৃষ্টি। দুঃচিন্তায় পড়েছে অনেক কৃষক।
নাটোরের গুরুদাসপুরে বুধবার রাতের ঝড়ো বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে কৃষকদের। বিশেষ করে এখন সকল ধান চাষীর কাঁচা, পাকা ও আধা-পাকা ধান জমিতে আর দোল খাচ্ছেনা। বৃষ্টির সাথে ঝড়ো বাতাস থাকায় মাটিতে নুয়ে পড়ে মাটির সঙ্গে মিশে আছে পাকা ধান। এছাড়া আধা পাকা ও কাঁচা ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধনের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে রোপা আমনের আবাদ করেছি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বৃষ্টিতে জমির ধান পানিতে পড়ে গেছে। খেতের সব ধানগাছ এখন বিধ্বস্ত। আমার সব শ্যাষ।
একই এলাকার আরেক কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারনে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে। হাতে তেমন অর্থও নেই। ধানের ভাল ফলন হলে কিছুটা সামাল দেব ভেবেছিলাম । কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল ঝড়ো বৃষ্টি। এখন ধানের ফলন ভালো হবে কিনা এই নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলায় এবছর ৪ হাজার ৬০০ হেক্টোর কৃষিজমিতে বরো ধানের আবাদ হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির কারণে ও কিছুসংখ্যক জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানের তেমন ক্ষতি হলেও আশঙ্কার কিছু নেই। কৃষকদের উচিত পাকা ধান কেটে ঘরে তোলা। এখনও ধানের ভাল ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাছাড়া সরকার কৃষকদের পাশে আছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.