কুমিল্লায় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সরকারী গাছ কর্তন! তদন্তে বন বিভাগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের আজ্ঞাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তারের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকার সরকারী গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গাছ বিক্রির টাকা তিনি আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। কিন্তু এলাকাবাসীর বাধার মুখে তিনি শেষ পর্যন্ত গাছ বিক্রি করতে পারেননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (২৩.১২.২০১৯ইং) দুপুরের দিকে আজ্ঞাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বিভিন্ন জাতের বেশ কয়েকটি গাছ বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে কর্তন করে থাকে।

যার আনুমানিক মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা বলে ধারনা করা যাচ্ছে। এলাকাবাসীর কেউ কেউ গাছ বিক্রিতে বাধা প্রদান করায় বাধার মুখে পরে প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার গাছগুলো বিক্রি করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা’র সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান- গাছগুলোর অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজ করা হবে, তাই আমি অনুমোদন ছাড়া গাছ কর্তন করে থাকি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেটে ফেলা গাছগুলো বিদ্যালয়ের মাঠে পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। নাম প্রকাশ, না করা শর্তে বিদ্যালয়টির একজন অভিভাবক বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তারের বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশে হওয়ায় তিনি প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতি চলমান রেখেছেন।

প্রধান শিক্ষক নাসিমা-বিদ্যালয় সজ্জিত করার জন্য বরাদ্দ,কন্টেজেনসি ফান্ড, প্রাক-প্রাথমিক তহবিল ও বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য সরকার হতে যে বরাদ্ধ আসে তার কিছু অংশ কাজে লাগালেও বরাদ্ধেও বাকী অংশটুকু তিনি ক্ষমতার সহিত ভোগ করে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ের বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে সরকারী গাছ কর্তনের চিত্র চোঁখে পরলে বুঝা যায় যে, প্রধান শিক্ষক অসৎ উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের গাছগুলো কেটেছেন।

অভিযোক্ত বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা রফিক উদ্দিন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন- সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটার চিত্র চোঁখে পরেছে।

যাচাই বাছাই সাপেক্ষে বন বিভাগ কুমিল্লা অঞ্চলের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তারের বিরুদ্ধে সরকারী গাছ কর্তনের দায়ে মামলা করা হইবে।

এদিকে বন বিভাগ কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী নুরুল করীমের সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান- সরকারী গাছ কাটতে হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কাটতে হয়।

অনুমতি না নিয়ে কাছ কেটে প্রধান শিক্ষক আইন ভঙ্গ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তারের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।

এ ঘটনায় কুমিল্লা বন বিভাগ তদন্ত টিম গঠন করেছে বলে জানা যায়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মানছুর। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.