কুমিল্লার ছন্নছাড়া বোলিংয়েও অসহায় সিলেট

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বিপিএলের তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হয়েছে খর্বশক্তির সিলেট সানরাইজার্স। যে ম্যাচে কুমিল্লার বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিং স্বত্বেও মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে গেছে প্রথমে ব্যাট করতে নামা সিলেট সানরাইজার্স। যার মধ্যে ১৪টি ওয়াইডসহ ১৯টি অতিরিক্ত রান দেন মুস্তাফিজরা।
মিরপুরে শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের শুরুটা ভালো হয়নি। কুমিল্লার স্পিন বিষে নীল হয়ে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শুরুতে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার প্রবণতা থাকলেও উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে রানের গতি।
১৫ ওভারের মধ্যে দলটি হারিয়ে ফেলে ৭টি উইকেট, ততক্ষণে বোর্ডে জড়ো করতে পারে মাত্র ৬৯টি রান। পরের তিন উইকেট হারিয়ে যোগ করতে পারে আরও ২৭ রান।
সিলেটের পক্ষে এদিন দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছেন মাত্র ৩ জন। সর্বোচ্চ ২০ রান আসে কলিন ইনগ্রামের ব্যাট থেকে, ২১ বলের মোকাবেলায়। এছাড়া রবি বোপারা ১৭ ও সোহাগ গাজী ১২ রান করেন। এনামুল হক বিজয় ৯ বলে ৩, মোহাম্মদ মিঠুন ৭ বলে ৫ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৬ বলে ৩ রান করে আউট হন।
সুনীল নারাইন একাদশে না থাকলেও নাহিদুল ইসলাম, তানভীর ইসলামরা কুমিল্লার স্পিন বিভাগকে সামলেছেন দারুণভাবে। আর পেস বিভাগে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে শহিদুল ইসলামও ছিলেন মিতব্যয়ী। মুস্তাফিজ, শহিদুল ও নাহিদুল দুটি করে উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম, মোমিনুল হক ও করিম জানাত।
যার ফলে ১৯.১ ওভারেই সবকটি উইকেট হারিয়ে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ৯৬-এ। অতিরিক্ত খাতে এদিন কুমিল্লা খরচ করে ১৯টি রান। অর্থাৎ সিলেটের ব্যাটাররা মাত্র ৭৭ রান সংগ্রহ করেছেন নিজেদের ব্যাট থেকে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), মোমিনুল হক, আরিফুল হক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, শহিদুল ইসলাম, নাহিদুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, ফ্যাফ ডু প্লেসি, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও করিম জানাত।
সিলেট সানরাইজার্স: মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিঠুন, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজী, অলক কাপালি, মুক্তার আলী, তাসকিন আহমেদ, কেজরিক উইলিয়ামস, কলিন ইনগ্রাম, রবি বোপারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.