কুমিল্লা ব্যুরো: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে পরপর দুবার গ্যাস লাইনে লিক হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে দ্বিতীয় দিনেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রীরা হলের বাইরে চলে আসে।
এ ঘটনায় শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থী বাইরে অবস্থান করেন।
জানা যায়, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে গ্যাসের তীব্র গন্ধে আগুনের আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এসময় তারা হল থেকে থেকে বেরিয়ে চলে আসলে পরবর্তীতে গ্যাসের মূল সংযোগ বন্ধ করে দিলে তারা হলে প্রবেশ করেন।
পরদিন শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর্মীরা এসে নিরীক্ষা করে সংযোগে কোনো লিকের চিহ্ন খুঁজে পায়নি। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় আবারও হলে গ্যাসের গন্ধ পেয়ে আতঙ্কে হল থেকে বেরিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মূল সংযোগ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি হলের সাধারণ সভায় বিষয়টি জানানোও হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিমু বিটিসি নিউজকে বলেন, কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও তারা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে আমাদের জীবনকে হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। যেকোনো সময় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। হল প্রশাসন কি এ দায়ভার নেবে?
শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, “আজ বাখরাবাদ গ্যাসের কর্মীরা এসে চেক করে গেছে। তারা কোনো ধরনের সমস্যা খুঁজে পায়নি। আগামীকাল এসে প্রতিটি জয়েন্ট চেক করবে তারা। আপাতত মূল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এরকুমিল্লা ব্যুরোপ্রধান আব্দুল্লাহ আল মানছুর। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.