কী থাকছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে?

ঢাকা প্রতিনিধি: উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। এ লক্ষ্যে শিল্পায়নের প্রসার ঘটানোর ঘোষণা দেওয়া হবে।

এছাড়া দুর্নীতি ও দারিদ্র্যমুক্ত করা, শিক্ষার মান বাড়ানো, খাদ্যে পুষ্টির নিশ্চয়তা, জিডিপি বাড়ানো ব্লু-ইকোনোমি অর্জন, মেগা প্রকল্প গ্রহণসহ গ্রামকে শহরে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে আওয়ামী লীগের ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিতে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা এসব তথ্য জানা গেছে।

ইতোমধ্যেই ইশতেহারের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।

ইশতেহার তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের ইশতেহারে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে তরুণ সমাজের উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এছাড়া ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির এবং সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়নের জন্য শিল্পায়ন বাড়ানো হবে। সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। আগামীতে পুষ্টির উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ জন্য খাদ্যের পুষ্টিমান উন্নয়নের ঘোষণা থাকবে ইশতেহারে।

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে এর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা এবং সুশাসন নিশ্চিত করার অঙ্গীকার থাকছে এ ইশতেহারে। প্রশাসন এবং পুলিশ বাহিনীকে আরও আধুনিক ও জনহিতৈষী করে গড়ে তোলার কথা থাকবে। গত ১০ বছরে দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে। এখন শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি রোধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থার উল্লেখ থাকবে ইশতেহারে। জিডিপি, বিনিয়োগ কিভাবে বাড়ানো যায়, কিভাবে মুদ্রাস্ফীতি কমানো যাবে সে বিষয়গুলো থাকবে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি দুই ডিজিটে উন্নীত করার কথা উল্লেখ করা হবে। ইনস্যুরেন্স ব্যবস্থা কি হবে এবং ইনস্যুরেন্স কিভাবে ভূমিকা রাখবে সে বিষয়ে ইশতেহারে উল্লেখ থাকবে।

ব্লু ইকোনোমি (সমুদ্র অর্থনীতি) অর্জনে ইশতেহারে দিক নির্দেশনা থাকবে। ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর বিশাল জলরাশি বাংলাদেশের হয়েছে। এ সমুদ্রসীমায় যে সম্পদ রয়েছে সেটা কিভাবে আহরণ করে অর্থনৈতিক উন্নতি করা হবে সে ব্যাপারে ঘোষণা থাকবে।

গ্রামকে পরিণত করা হবে শহরে। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং আগামী ২১০০ সালে অর্থাৎ ৮০ বছর পর বাংলাদেশ কেমন হবে ইশতেহারে সে ঘোষণা দেওয়া হবে। এর জন্য ১০০ বছরের ডেল্টা প্লান তুলে ধরা হবে ইশতেহারে।

ইশতেহার তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, ইশতেহারের খসড়া ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে। এখন এটি নেত্রীর কাছে আছে। তিনি দেখছেন। ইশতেহার প্রকাশের তারিখ এখন নির্ধারণ হয়নি। তবে দ্রুতই এটা প্রকাশ করা হবে। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.