কীটনাশক ব্যবহারেও থামানো যাচ্ছেনা, আদমদীঘিতে মাজরা পোকার আক্রমনে শেষ করে ফেলছে ধান ক্ষেত

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় মাজরা পোকার আক্রমনে শেষ করে ফেলছে আমন ফসল। দফায় দফায় কীটনাশক ব্যবহার করেও থাকানো যাচ্ছেনা পোকার এই তীব্র গতি।
এতে একদিক রোপা আমন আবাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে পোকার আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্থ আমন ফসলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে।
এবার কৃষকরা অধিকাংশ জমিতে বিনা-১৭, স্বর্ণা-৫ ও ৫১ জাতের ধান চাষ করেন।
জমিতে ধান রোপন করার পর ধানগাছ সবুজ আকার ধারণ করার পর পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা কেউ বা কীটনাশক স্প্রে, কেউ বা দানাদার প্রয়োগ করেন। কিন্তু এতে কোন লাভ হয়নি। কিছুদিন পর ধান গাছে মাজরা পোাকার আক্রমন দেখা দিলে কৃষকরা ওয়ানস্টপ, কেরাটে ও ভিরতাকু নামক কীটনাশ আবারো স্প্রে করেন। তারপর থামানো যাচ্ছেনা ধানগাছের মাজরা পোকার আক্রমন। আক্রান্ত জমিতে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ধান গাছের পাতা সাদা হয়ে মরে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে আমন ফসল।
সালগ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানায়, তার সাড়ে ৭ বিঘা জমির আমন ফসলে মাজরা পোাকর অক্রমন করেছে। ধানগাছের পাতা সাদা হয়ে মেের যাচ্ছে। পরামর্শ দেয়ার জন্য কৃষি বিভাগের কেউ খোঁজ নেয়না।
অপর তেতুলিয়া গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম জানায়, তার তিন বিঘা জমির ধানগাছে মাজরা পোকার আক্রমনে পাতা মরে বিনষ্ট হচ্ছে। কি উপায়ে ধানগাছ রক্ষা করা যাবে তা নিয়ে দু:চিন্তাই রয়েছি।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, লোকবল কম থাকায় সময় মতো সব মাঠে যেতে পারা যায়না। তবে মাজরা পোকা দমনে তিনি এনসিপিও নামক কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.