কিশোরগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষে ১১ পুলিশ সহ প্রায় ৪০ জন আহত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে পৃথক দুটি ঘটনায় ১১ পুলিশ সহ প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে প্রথম ঘটনায় কটিয়াদী উপজেলায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ৯ টার পর কটিয়াদী পৌরসভার বীর নোয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সাব্বির জামান রনি, ইসমাইল হোসেন ও নবী হোসেন নামে বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, নির্বাচনী প্রচারনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে মারমুখি হয়ে ওঠে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছালে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল, এসআই জহিরুল, এসআই নাজিউর, এসআই মোস্তফা ও এএসআই বজলুল। তাদেরকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষে আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বিটিসি নিউজকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করেছে। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বিকেলে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলমের নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের ছয় সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৭০ রাউন্ড রাবার গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। এরা হলেন- নাজির (২৪), কাজল (২৬), সাগর (১৮), কালাম (৪০), শামীম (১৯) ও আবদুল্লাহ গালিব (২০)।

আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কুলিয়ারচর থানার একজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) এবং চারজন পুলিশ কনস্টেবল আছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। আহতদেরকে উদ্ধার করে বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা জানান, বিকেলে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম কয়েকহাজার নেতা-কর্মী নিয়ে পৌরসভা রোড থেকে একটি মিছিল বের করেন।

এসময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে বলে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ নিয়ে বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের তর্কবিতর্ক শুরু হয়।

এক পর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৭০ রাউন্ড রাবার গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় ৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.