কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী মারা গেছেন

বিটিসি বিনোদন ডেস্ক: বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
কবরীর ছেলে শাকের চিশতী গণমাধ্যমকে তার মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।

গত ৫ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরপরই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কবরীকে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ৮ এপ্রিল তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখান চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিরবিদায় নিলেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।

১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে জন্ম নেওয়া কবরী ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভূত হন। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ ছবির নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। তারপর আর তাকে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকদের মনে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনে নায়িকা হিসেবে কবরী শতাধিক সিনেমা করেছেন। ১৯৭৩ সালে ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। নায়ক রাজ্জাকের সঙ্গে ‘রংবাজ’ পায় বেশ জনপ্রিয়তা।

১৯৭৫ সালে নায়ক ফারুকের সঙ্গে ‘সুজন সখী’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর কবরীকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। এই সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান তিনি। পরবর্তীতে তিনি রাজ্জাক, সোহেল রানা, ফারুক, উজ্জ্বল, জাফর ইকবালের মত অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কবরী। অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননাসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.