বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত একটি প্রধান নদীর ওপর ভারত তাদের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
সিন্ধু পানি চুক্তির (আইডব্লিউটি) আওতায় থাকা চেনাব নদীর ওপর ওপর ১৮৫৬ মেগাওয়াটের এই ‘সাওয়ালকোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে’ প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সংঘাতের পর ভারত এপ্রিল মাসে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করায় পাকিস্তানের কাছ থেকে অনুমোদন ছাড়াই এটি নির্মিত হবে বলে গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়।
১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় সই হওয়া আইডব্লিউটি চুক্তির অধীনে দুই আঞ্চলিক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সিন্ধু নদীর বণ্টন-ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
ভারতে কাশ্মীরে সশস্ত্র হামলার পরপর বলেছিলেন, এটি স্থগিত থাকবে ‘যতক্ষণ না পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন প্রত্যাখ্যান করে।’
তবে ভারত হামলার পেছনে পাকিস্তানকে দায়ী করলেও এতে কোনো ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ।
আইডব্লিউটি’র অধীনে সেচের জন্য চেনাব নদীর পানি ব্যবহারের সীমিত অধিকার রয়েছে ভারতের। তবুও নদীতে প্রকল্প তৈরির অনুমতি রয়েছে। তবে শর্ত ছিল, দ্বিপাক্ষিক সংস্থা ‘সিন্ধু পানি কমিশন’ -এর অনুমোদন নিয়ে এই ধরনের প্রকল্পগুলোর নকশা এবং উচ্চতা ঠিক করতে হবে।
এই চুক্তিতে প্রধান নদীগুলিতে বড় বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পানি সঞ্চয়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। এর ফলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ ছিল সীমিত।
ভারতের রাষ্ট্র-সমর্থিত জাতীয় জলবিদ্যুৎ কর্পোরেশন এই প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে দরপত্র আহ্বান করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ১৯৮০-এর দশকে ধারণা করা হয়েছিল, কিন্তু গত ৪০ বছর ধরে বিভিন্ন কারণে এটি স্থগিত ছিল। যার মধ্যে রয়েছে চেনাব নদীর প্রবাহের ওপর বাঁধের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে পাকিস্তানের আপত্তি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.