কালীগঞ্জে চারটি টীনের তৈরী চালাই থাকার একমাত্র আশ্রয় বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: শেষ বয়সে এসে সব বৃদ্ধ/বৃদ্ধারাই একটু শান্তিতে জীবন কাটিয়ে দিতে চায়। এই চাওয়াটা তাদের অপরাধ নয় এটা তাদের অধিকারও বটে।  ঠিক তেমনি একটু শান্তিতে জীবন কাটিয়ে দিতে চায় একজন দরিদ্র অসহায় বৃদ্ধা মৃত: আমের আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০), যাকে এলাকার মানুষ ফতে আপা নামেই জানেন। ফাতেমা বেগমের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তালুক বানীনগর আমতলা জামে মসজিদ এলাকায়।

মহাসড়কের পাশেই কয়েক শতক জমির উপর চারটি টীন দিয়ে তৈরী করা একটি চালাঘর ফতের একমাত্র থাকার আশ্রয়। সেই চালা ঘরটিও নড়াচড়া করে ঝড় বৃষ্টি এলে।

এই বৃদ্ধার এক ছেলে ফরিদুল (২৫), দুই মেয়ে আমিনা (২২) ও সামিনা (২০)। ছেলে মেয়েদের বিবাহ হওয়ায় তারা নিজেদের নিয়েই ব্যাস্ত থাকলেও ছেলে ঢাকায় থাকার সুবাদে তার দেয়া টুকটাক টাকা পয়সায় অনাহারে কিংবা অধ্যাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে এই ফতে আপা। যার প্রতিটা দিন কাচ্ছে নানা দুঃখ কষ্ট কান্নার মধ্যে দিয়ে।

আজ ১২ জুন সরজমিনে এ প্রতিনিধির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, লোকমুখে শুনেছি জমি আছে ঘর নাই সরকারি প্রকল্পের কথা।

সেই থেকেই  একটি সরকারি ঘরের আসার দিন কাটাচ্ছি। তবে অনেক জায়গায় যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তার। জমি আছে ঘর নাই প্রকল্প এদের মতো দরিদ্র অসহায়রা না পেলে পাবে কে? জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্রশ্ন এ প্রতিনিধির।

বৃদ্ধার অভিযোগ সে কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা পায়না। কান্নাজরিত কন্ঠে তিনি বলেন, আর কতটা বয়স হলে পাইম বয়স্ক ভাতা। স্বামী মারা যাওয়ার ১৬/১৭ বছর পার হলেও এখনো কপালে মেলেনি বিধবা ভাতা নামের কার্ডটিও।

একটি ঘর কোনমতে তোলার স্বপ্ন কোনদিন বাস্তবে রূপ দিতে পারবে কি না তা নিজেও জানেন না বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম। সরকারি সহযোগিতা বলতে ১০ টাকা কেজির চালও কপালে জোটেনি তার। এখন শুধু অপেক্ষা একটি ঘরের। তা যে মানেরই হোক। তাহলেই জীবনে একটু স্বস্তির পরশ খুঁজে পাবেন বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যাস্ততাজনিত কারনে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট  প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.