কারফিউ তুলে নিয়েছে ইউক্রেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কইউক্রেনে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে দেশটির প্রায় সব জেলাতেই এখনও রুশ সৈন্যদের সঙ্গে লড়াই চলছে। এদিকে কারফিউ তুলে নেওয়ায় মুদি দোকানগুলো খোলা হয়েছে। ফলে মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে। গত দুই দিন ধরে বেশিরভাগ মানুষই বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থান করছিলেন। এখন কিছুটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন তারা।
তবে দুপক্ষের সংঘর্ষের কারণে প্রতিনিয়তই সতর্ক থাকতে হচ্ছে। লোকজন সারাক্ষণই টেলিভিশনের পর্দা এবং মোবাইলের মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি নজরে রাখছেন।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টাকে ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন তিনি। সে সময় জেলেনস্কি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইউক্রেন জুড়ে যুদ্ধ চলমান থাকার এই সময়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপকালে রাশিয়ার আক্রমণের সময় এই প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন জনসন।
সে সময় জনসন আশ্বাস দিয়েছেন যে, যুক্তরাজ্য ও এর মিত্রদের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সহায়তা যাতে পৌঁছায় তা নিশ্চিতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেবেন তিনি। দুই নেতাই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে সম্মত হয়েছেন।
টানা পঞ্চম দিনের মতো ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও খারকিভে তীব্র লড়াই চলছে। চারদিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। ভয়াবহ বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছে দেশটির স্টেট সার্ভিস অব স্পেশাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রোটেকশন।
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই কিয়েভের পরিস্থিতি শান্ত ছিল। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে। তবে আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তরা দাবি করেছেন, রাশিয়ান সেনাদের তাড়িয়ে শহর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৭০ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.