কারখানায় খাবার খেয়ে অসুস্থ ৫শ’ শ্রমিক

 

সাভার প্রতিনিধি:  ঢাকার ধামরাইয়ে স্নোটেক্স তৈরি পোশাক কারখানার দুপুরের খাবার খেয়ে রোগীর সংখ্যা ৫শ’ ছাড়িয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক হাসপাতাল ও সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১শ’ জন, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৫০ জন এবং সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় ২শ’ জন শ্রমিককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া রাতে হাসপাতালে সিট না পেয়ে অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন শ্রমিকরা।

এর আগে গতকাল ২৮ অক্টোবর রোববার  বিকেল থেকে কারখানাটির সরবরাহ করা দুপুরের খাবার খেয়ে ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকেন শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি এবং কারখানাটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।

ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর সাহেব আলী বিটিসি নেউজকে বলেন, স্নোটেক্স কারখানায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত কোনো গ্যাস লিকেজ করায় তা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং শ্রমিকরা ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে।

স্নোটেক্স কারখানার প্রশাসনিক বিভাগের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, রোববার বিকেলে কারখানার শ্রমিকরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এবং নতুন করে আরও শ্রমিক অসুস্থ হতে থাকায় সোমবার সকালে শ্রমিকরা কাজ করতে আসলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের যাবতীয় চিকিৎসার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক বলেন, স্নোটেক্স কারখানার খাদ্য বিষক্রিয়ার ঘটনাটি তদন্তে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাকারিয়া আল আজিজকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছে। এছাড়া ঢাকা ডিজি অফিস থেকেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে কি কারণে এমন হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.