কাবু শীতে মানষিক প্রতিবন্ধীকে সুয়েটার দিলেন সাংবাদিকরা


রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মুক্তা চত্তরে প্রতিদিন সাংবাদিকদের আড্ডা চলে চায়ের দোকানে। বিষ্ণুর চা দোকানে সাংবাদিকরা এক কাপ চা না খেলে সারা দিনের খোশ গোপ্প জমে উঠেনা। পাশেই করিমের ভাতের হোটেল।

গতকাল সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় প্রেসক্লাবের সবেমাত্র নির্বাচন শেষ হয়েছে। ক’জন সংবাদকর্মী করিমের হোটেলের দিকে এগুতেই চোখে পরে হুরøা নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর দিকে। গায়ে পাতলা কাপড়, হাতে সুরুয বিড়ি।

কনকনে শীতে থরথর কাপনী। বসে আছে হোটেলের বাইরে রাতের অন্ন পাওয়ার আশায়। শরীরের মোটা কাপড়ের অভাবে একদিকে শীত যেমন কাবু করেছে তাকে, অন্যদিকে পেটের যন্ত্রনায় কাতর হুলাø কোন মতেই ফাঁকি দিতে পারেনি উপস্থিত সাংবাদিকদের চোঁখকে।

তরুন সাংবাদিক সুজন বিষয়টি জানাতেই প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আনোয়ারুল ইসলাম, নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম শিল্পী, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, মাহবুব আলম তাৎক্ষনিক একটি সুয়েটার কিনে মানসিক প্রতিবন্ধী হুল্লা নামে প্রতিবন্ধীটিকে গায়ে পড়িয়ে দেন। যদিও দেশব্যাপী গনমাধ্যমে উত্তরের সাধারন লোকজনকে কাবু করছে এমন খবর প্রতিদিন প্রকাশ হচ্ছে। প্রত্যন্ত এ অঞ্চলে শীত এসেছে বেশ কিছুদিন থেকে কোমড় বেঁধেই।

হালকা মৃদ্যু বাতাস, কালো আর ফ্যাকাশে ঘন কোঁয়াশা নিয়ে! গরীব খেটে খাওয়া মানুষের অসহায়ত্বকে সুযোগ বুঝে হানা দিচ্ছে পাষবিক ভাবে। যদিও প্রকৃতির নিয়ম বেঁধে এ নিয়মেই প্রতি বছর শীত আসে।

এমনিই সারা দেশে হাজারো পাগল অর্থাৎ মানষিক প্রতিবন্ধীদের রাত্রি যাপন কোন স্কুলের বারান্দায়, ষ্টেশনে , গাছের গোড়ায়, দোকানের খোলা বারান্দায় নয়তো কোন খোলা মাঠে রাত্রি যাপন করে থাকে।

এদের কনকনে শীতে একটি মোটা কাপড় এতোটায় প্রয়োজন যতোটা প্রয়োজন সামাজিক ভাবে মানবিক সচেতন হয়ে আমাদের সকলকে তাদের খোঁজ রাখা। হুল্লার মত আর কোন মানসিক প্রতিবন্ধী মোটা কাপড়ের জন্য এ শীতে যেন কষ্ট না পায় এবং সকলকে সহযোগিতা করার জন্য রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম শিল্পী অনুরোধ জানান।

সেই সাথে তিনি বলেন, ‘সমাজের বিত্তবানরা আমাদের সাথে সহযোগীতা করার জন্য এগিয়ে আসবেন এবং রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের মাধ্যমে এমন অসহায় মানুষের কল্যানে সংবাদকর্মীদের নিয়ে তিনি কাজ করবেন’।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.