কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি, ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়েই চলেছে। ফলে রাঙ্গামাটির সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতু ডুবে গেছে। বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সেতুটি ডুবে যায়। এদিকে সেতুটি ডুবে যাওয়ায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলে স্থানীয়সহ পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পর্যটন করপোরেশন।
পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, মাইনী, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির কাচালং নদী এবং ভারতের মিজোরাম রাজ্য থেকে উৎপত্তি হওয়া কর্ণফুলী নদীর পানি কাপ্তাই হ্রদে এসে মিসেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে হ্রদের পানি বাড়ছে।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটির পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বিটিসি নিউজকে বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের চার ইঞ্চি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আজ দুপুর থেকে সেতুটি দিয়ে স্থানীয়সহ পর্যটকদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
কাপ্তাইয়ে পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৫ দশমিক ৫৪ ফুট এমএসএল (মিন সি লেভেল)। কাপ্তাই হ্রদে পানির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ১০৮ ফুট মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। রুলকার্ভ অনুযায়ী এ সময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৮ দশমিক ৩১ মিনস সি লেভেল।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বিটিসি নিউজকে বলেন, হ্রদে পানি বাড়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বেড়েছে। বুধবার ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গত সোমবার বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ২১৯ মেগাওয়াট। কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটই সচল রয়েছে। পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বিটিসি নিউজকে বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি আছে ১০৫ দশমিক ৫৪ ফুট মিনস সি লেভেল। ১০৮ ফুট মিনস সি লেভেল অতিক্রম করলে ১৬ জলকপাট খুলে দেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি মো. মাজহারুল করিম মাজেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.