বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: চার বছরের বেশি হয়ে গেল অ্যাস্টন ভিলায় খেলছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ঘরের মাঠে কত আনন্দ-বেদনার স্বাক্ষী তিনি। গ্যালারিতেও দেখেছেন নানা রঙের খেলা। কিন্তু এই ম্যাচের মতো এতটা তীব্র ও উত্তাল গ্যালারি আর দেখেননি বলেই দাবি তার। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়টি তাই ভিলা পার্কের দর্শকদের উৎসর্গ করলেন আর্জেন্টাইন এই গোলকিপার।
ভিলা পার্কে ৪১ বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের শীর্ষ ইউরোপিয়ান ম্যাচ ছিল এটি। সমর্থকদের উত্তেজনা তাই স্বাভাবিকভাবেই অনুমেয়। ম্যাচজুড়েই গলা ফাটিয়ে দলকে উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন অ্যাস্টন ভিলার সমর্থকেরা।
দূরপাল্লার গতিময় এক শটে ৭৯তম মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন জন দুরান। তবে দারুণ কিপিং করে যথারীতি বড় অবদান রাখেন মার্তিনেস। খুব কাছ থেকে জামাল মুসিয়ালার শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন তিনি এক দফায়। শেষ দিকে হ্যারি কেইনের হেড বাঁচিয়ে দেন দুর্দান্ত দক্ষতায়। ম্যাচের ৭০ শতাংশ বল দখলে রেখেও গোল আদায় করতে পারেনি বায়ার্ন। দারুণ জয়ের পর মার্তিনেস কৃতজ্ঞতা জানালেন সমর্থকদের প্রতি।
“আমি এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর নিশ্চিতভাবে ভিলা পার্কে সবচেয়ে জোরে আওয়াজ ছিল আজকেই। কখনও কখনও তো কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছিল আমার। এখানে খেলতে ভালোবাসি আমি, সমর্থকদের ভালোবাসি। এই জয় তাদের জন্য।”
জাতীয় দল ও ক্লাবের জয়ে অবিশ্বাস্য সব সেভ করে নানা সময়ে ফুটবলবিশ্বে আলোড়ন তুললেন নিজেকে নিয়ে তৃপ্ত নন মার্তিনেস। উন্নতি তাড়নায় ধাবিত হয়ে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিতে চান ৩২ বছর বয়সী গোলকিপার।
“আমার জন্য কোনো সীমানা নেই। আরও উন্নতি করে যেতে চাই। ক্রমাগত উন্নতির চেষ্টায়, সবার সেরা হয়ে ওঠা, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্জেন্টিনার হয়ে সবকিছু জয়ের ভাবনায় বুঁদ থাকি আমি। প্রতি সপ্তাহেই তা মেলে ধরতে চাই। প্রিমিয়ার লিগে অনেক গোল হজম করেছি, এটা আমাকে পোড়ায়। এই ম্যাচে গোল না হজম করাটা তাই দারুণ এবং কঠোর পরিশ্রমে এটা ধরে রাখতে চাই।” #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.