কানসাটে গঙ্গাস্নান উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দশহারা মেলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট গুজরঘাটে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিলন মেলা তথা গঙ্গস্নান দশহারা মেলা হয়েছে। শনিবার সূর্যদয়ের পূর্ব থেকে কানসাট পাগলা নদীর তীরে স্নানসিগ্ধে মেতে উঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

দশহারা মেলায় যোগ দেয়ার জন্য শুক্রবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কানসাট গুজরঘাটে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মেলায় আসতে শুরু করেন। দশহারা মেলা তথা গঙ্গাস্নান উপলক্ষ্যে ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মবিশ্বাসী তাদের তীথি অস্থি-বিষর্জন দিতে এবং গঙ্গাদেবীকে পাওয়ার আসায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসে কানসাটের এই পাগলা নদীর ঘাটে।

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, কানসাটে গঙ্গা আশ্রম এবং শ্মশান গঙ্গাঘাটটি কানসাট বাজারে দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত। এ গঙ্গাঘাটটি দেশের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি জাতীয় তীর্থভূমি। এই তীর্থ ভূমিকে জানা-বোঝা এবং এর অতীত ইতিহাস, অন্বেষণ করা আমাদের অধিকতর কর্তব্য। সকল ধর্মপ্রাণ হিন্দু সম্প্রদায়ী নেতাদের অবশ্যই উচিৎ হবে এই তীর্থটিকে গড়িয়ে তোলা। এখানে প্রতি বছর গঙ্গা দশহরা তিথী অনুযায়ী জ্যৈষ্ঠ বা আষাঢ় মাসে সর্ববৃহৎ গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিতকায় শনিবার কানসাট পাগলা নদীর তীরে আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে এসে একত্রিত হয় এবং গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থণা করে।

এছাড়া নিজেদের স্বাদ্ধের মধ্যে তারা এখানে এসে আমরা অস্থি-বিষর্জন দিচ্ছি। ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আরো জানান, শুধু গঙ্গাদেবী প্রার্থণার্থে নয়, পাশাপাশি আমরা একের অপরে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে আরো অটুট রাখতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক দিন আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। একটি বছর পর আমরা সকল একত্রিত হতে পারায় নিজেদেরকে অনেক আনন্দময় লাগছে।

এব্যাপারে কানসাট গঙ্গা আশ্রম কমিটির সভাপতি শ্রী সুবোধ দত্ত জানান, আমরা কানসাট এই পাগলা নদীর তীরে ও এ নদীতে স্নান করে নিজের জীবনে জমে থাকা পাপকে বিসর্জন করি। এছাড়া আমাদের পূর্ব পুরুষের আমল হতে এখানে এ স্নান মেলা হয়ে আসছে। আমরা তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে চাই এবং ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা ভক্তি সহকারে পালন করে থাকি। তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শনিবার এ গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.