কাদের সুস্থ হয়ে ফিরলে তাকে নিয়ে ব্রিজ পরিদর্শনে যাবো : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা প্রতিনিধিপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভুলতা ফ্লাইওভারের (ঢাকা বাইপাস অংশ), কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু ও গাজীপুরের লতিফপুর রেলওয়ে ওভারপাস এই তিন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন ।

এর মধ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরলে তাকে নিয়ে ব্রিজটি পরিদর্শনে যাব।

সরকারপ্রধান বলেন, দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু নিয়ে আমাদের মন্ত্রী (সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী) ওবায়দুল কাদেরের অনেক আগ্রহ ছিল। কথা ছিল সেখানে গিয়ে আমি ব্রিজটি উদ্বোধন করব। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কাদের হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ফিরে এলে তাকে নিয়ে ব্রিজ পরিদর্শনে যাব।

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরের জন্য দোয়া চায়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওবায়দুল কাদেরের জন্য দোয়া করবেন, যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে এসে পুরো উদ্যোমে কাজ করতে পারেন।

দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুপ্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও তিনটি নদীর ওপর চারলেনের সেতু নির্মিত হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামের রাস্তা চারলেন করা হয়েছে।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ৪০০ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৮ মিটার প্রস্থ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট অনেকটা কমে আসবে। দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে এবং খুব শিগগির এ সেতু দুটিও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুজাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমিজু করপোরেশন, জেএফই ইঞ্জিনিয়ার করপোরেশন এবং আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম কোম্পানি লি: ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর পাশাপাশি দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। আগামী জুনে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার মাস আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

কাঁচপুর, মেঘনা ও মেঘনা গোমতি সেতুর পাশাপাশি তিনটি চার লেনের সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই সড়কে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুভোর্গের অবসান ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আরএইচডি’র কর্মকর্তারা।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.