কাতার বিশ্বকাপ’র মৃত্যুকূপে ব্রাজিল-স্পেন-জার্মানি-পর্তুগাল!

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গতকাল শুক্রবার (০১ এপ্রিল) রাতে। জানা হয়ে গেছে আগামী বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে কে কার মুখোমুখি হবে। কে কাকে পরাজিত করতে পারলে উন্নীত হবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।
কাতার বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার পর শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ, কোন গ্রুপ সবচেয়ে শক্তিশালী, কোনটাকে বলা হচ্ছে ‘ডেথ গ্রুপ’ বা মৃত্যুকূপ। ড্র’য়ের পর বিশ্বকাপের ফেবারিট দলগুলোর সমর্থকদের কেউ কেউ খুশি, আবার কারো কারো মনে শঙ্কা, তাদের প্রিয় দল গ্রুপ পর্ব পার হতে পারবে তো!
মোট ৩২টি দল। যার মধ্যে ২৯টি এরই মধ্যে নির্ধারণ হয়ে গেছে। তিনটি বাকি আছে। যারা প্লে-অফ খেলে টিকিট কাটবে আগামী বিশ্বকাপের। তাদেরকে ধরেই শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বকাপের ড্র। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে ফেবারিট চারটি দল।

WC Draw

সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন এবং জার্মানি পড়েছে একই গ্রুপে। ‘ই’ গ্রুপে অবশ্য স্পেন-জার্মানির বাকি দুই প্রতিপক্ষ কিছুটা সহজ। একটি হলো এশিয়ান দেশ জাপান, অন্যটি এখনও অজানা। কোস্টারিকা কিংবা নিউজিল্যান্ড। প্লে-অফ খেলে এই দুই দলের একটি টিকিট কাটবে কাতারের।
এছাড়া ব্রাজিল রয়েছে বেশ শক্তিশালী একটি গ্রুপে। নেইমারের দেশকে মোকাবেলা করতে হবে দুই ইউরোপিয়ান কঠিন প্রতিপক্ষ সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং আফ্রিকান কঠিন প্রতিপক্ষ সেনেগালের। অন্যদিকে ইউরোপের ‘ব্রাজিল’ খ্যাত পর্তুগালও কঠিন গ্রুপে পড়েছে। আফ্রিকান দেশ ঘানা, লাতিন আমেরিকার উরুগুয়ে এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ার মোকাবিলা করতে হবে তাদের।
সে তুলনায় কিছুটা সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েছে সমর্থকদের সবচেয়ে ফেবারিট দল আর্জেন্টিনা, গত আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন, চারবারের রানারআপ নেদারল্যান্ডস, ইউরোপের আরও দুই শক্তিশালী দল ইংল্যান্ড এবং বেলজিয়াম।

Draw

গ্রুপ ‘এ’: কাতার, ইকুয়েডর, সেনেগাল এবং নেদারল্যান্ডস
স্বাগতিক কাতারের জন্য ভালো একটা সুযোগ নিজেদের প্রথম আসরেই নকআউটে নাম লেখানোর। যদিও শুরুতেই তারা মুখোমুখি হবে লাতিন আমেরিকান দেশ ইকুয়েডরের। এই ম্যাচে জিততে পারলেই পরের দুই ম্যাচে সেনেগাল এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়তে পারবে।
তবে এই গ্রুপে সবার নজর থাকবে সাদিও মানের দেশ সেনেগাল এবং ‘অল ফুটবলের’ দেশ নেদারল্যান্ডসের দিকে। পেরু এবং চিলিকে পেছনে ফেলে এবার লাতিন থেকে বিশ্বকাপে নাম লিখেছে ইকুয়েডর। সুতরাং, তারা সহজ প্রতিপক্ষ হবে না, নিশ্চিত।

A Group

অন্যদিকে আফ্রিকায় মোহামেদ সালাহর মিসরকে বিদায় করে বিশ্বকাপে নাম লিখেছে সাদিও মানের সেনেগাল। তারা বিশ্বকাপে নিজেদের উপস্থিতর বেশ ভালো প্রমাণ দিতে পারবে। ২০০২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল তারা।
নেদারল্যান্ডস সব সময়ই ফেবারিট। কিন্তু ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি তারা। এবার বিশ্বকাপে ফিরে আসাটাকে তারা রাঙিয়ে রাখতে চাইবে- এটাই স্বাভাবিক।
গ্রুপ ‘বি’: ইংল্যান্ড, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র এবং প্লে-অফ থেকে আসা দল
এই গ্রুপে স্বাভাবিকভাবেই সবার নজর থাকবে ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। তবে বিশ্বকাপে সব সময়ই যুক্তরাষ্ট্র ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন হয়ে থাকে। এ নিয়ে গ্রুপ পর্বে তৃতীয়বার মুখোমুখি হবে তারা। এর আগের দু’বার ইংল্যান্ড অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না।
১৯৫০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল এই দুই দেশ এবং গ্রুপ সেরা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে ইংলিশরা দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানির। যে ম্যাচে ইংল্যান্ড হেরে যায় ৪-১ গোলে।

B Group

আরও একটি আকর্ষণীয় ম্যাচ অপেক্ষা করছে এই গ্রুপে। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে ইরানের কাছে অবিশ্বাস্যভাবে ২-১ গোলে হেরে যায় মার্কিনিরা। এই গ্রুপের বাকি দেশটি এখনও অজানা। এখনও একটি ইউরোপিয়ান প্লে-অফ বাকি। ইউক্রেন এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত ম্যাচের জয়ী দল খেলবে ওয়েলসের সঙ্গে। সেই ম্যাচের জয়ী দল হবে এই গ্রুপের চতুর্থ দল।
গ্রুপ ‘সি’: আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব, মেক্সিকো এবং পোল্যান্ড
দর্শকপ্রিয় দল আর্জেন্টিনা এবার মোটামুটি সহজ গ্রুপেই পড়েছে। মেসির শেষ বিশ্বকাপ। স্মরণীয় করে রাখার এটাই বড় সুযোগ। ধরে নেয়া হচ্ছে, সহজেই হয়তো গ্রুপ পর্ব পার হয়ে যেতে পারবে আর্জেন্টাইনরা।
মেক্সিকো আর্জেন্টিনার কিছুটা কঠিন প্রতিপক্ষ হতে পারে। দেশটি বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওঠার সক্ষমতা রাখে সব সময়ই। শেষ সাতটি বিশ্বকাপেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে এই দেশটি। এবারও মেসিদের বেশ ভালো পরীক্ষা নিতে পারবে, সন্দেহ নেই।
C Group
তবে, মেসিদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ কিন্তু মেক্সিকোর চেয়ে পোল্যান্ড হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। কারণ, এই দলটিতে রয়েছেন বর্তমান ফিফা বিশ্বসেরা ফুটবলার রবার্ট লেওয়ানডস্কি (২০২০ এবং ২০২১ – এ সেরা)। বায়ার্ন মিউনিখে খেলা এই ফুটবলার একাই যে কোনো একটি ম্যাচকে ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
সে হিসেবে, আর্জেন্টিনার জন্য এই গ্রুপে সৌদি আরবছাড়া সহজ প্রতিপক্ষ নেই। সুতরাং, হেলাফেলা করলে দ্বিতীয় রাউন্ডেই ওঠা কঠিন হয়ে যাবে আর্জেন্টাইনদের জন্য।
গ্রুপ ‘ডি’: ফ্রান্স, ডেনমার্ক, তিউনিসিয়া এবং প্লে-অফ থেকে আসা দল
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে কঠিন পরীক্ষার স্বাদ নিতে হবে ডেনমার্কের বিপক্ষে। ডেনিসরা এমন একটি দল, যারা ইউরোপিয়ান বাছাই পর্বে জার্মানির সঙ্গে সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দল হিসেবে বিশ্বকাপে নাম লিখেছে।
শুধু তাই নয়, পুরো বাছাইপর্ব জুড়ে মাত্র তিনটি গোল হজম করেছে তারা। তাদের ডিফেন্স বেশ ভালোই ভোগাবে কিলিয়ান এমবাপে, আন্তোনিও গ্রিজম্যান, করিম বেনজেমাদের।

D Group

২০১৮ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল তিউনিসিয়া। পানামাকে তারা হারিয়ে দিয়েছিল ২-১ গোলে। এছাড়া ইংল্যান্ডের বেশ কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে যায়। টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে এসে এবারও যে আফ্রিকান দেশটি প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলবে না, তা বলাই বাহূল্য।
এই গ্রুপের চতুর্থ স্থানটির জন্য এখনও দাবিদার তিন দেশ। অস্ট্রেলিয়া-আরব আমিরাত এবং লাতিন আমেরিকার পেরু। অস্ট্রেলিয়া ও আরব আমিরাতের মধ্যে বিজয়ী দল প্লে-অফ খেলবে পেরুর সঙ্গে। ওই ম্যাচের জয়ী দল টিকিট কাটবে বিশ্বকাপের।
গ্রুপ ‘ই’: স্পেন, জার্মানি, জাপান, প্লে-অফ থেকে আসা দল
গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল জার্মানি। এবারও তারা মুখোমুখি কঠিন প্রতিপক্ষের। সেই দলটির নাম স্পেন। ২০১০ বিশ্বকাপ বিজয়ী এবং ২০১৪ বিশ্বকাপ বিজয়ী দল দুটি এবার যেন গ্রুপ পর্বেই ‘ফাইনাল’ খেলে ফেলবে। পুরো গ্রুপ পর্বের আকর্ষণ হয়ে থাকবে এই ম্যাচ।
সে হিসেবে এই গ্রুপকেই অনেকে ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বা মৃত্যুকূপ বলছে। তবে, ‘ই’ গ্রুপে স্পেন-জার্মানির বাকি দুই প্রতিপক্ষ কিছুটা সহজ। একটি হলো এশিয়ান দেশ জাপান, অন্যটি এখনও অজানা। কোস্টারিকা কিংবা নিউজিল্যান্ড। প্লে-অফ খেলে এই দুই দলের একটি টিকিট কাটবে কাতারের।
E Group
গত পাঁচটি বিশ্বকাপের মধ্যে তিনবারই নকআউটে নাম লিখেছে এশিয়ান দেশ জাপান। দুর্দান্ত ফুটবল খেলে জাপানিরা। এবারও যে তারা স্পেন এবং জার্মানির পরীক্ষা নেবে না, বলা মুস্কিল। দেখা গেলো, সবাই নজর দিচ্ছে স্পেন-জার্মানির দিকে, অথচ তাদের একজনকে বিদায় করে নকআউটে উঠে গেলো জাপান। কেমন হবে তখন?
কোস্টারিকা কিংবা নিউজিল্যান্ড খুব একটা কঠিন প্রতিপক্ষ হবে না বাকিদের জন্য। তবুও, বিশ্বকাপের মঞ্চ। যে কোনো সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে।
গ্রুপ ‘এফ’: বেলজিয়াম, কানাডা, মরক্কো এবং ক্রোয়েশিয়া
তুলনামূলকভাবে এই গ্রুপটা বেশ কঠিন। বিশ্বকাপ না জিতলেও বিশ্বের অন্যতম সেরা দল বেলজিয়াম। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া রয়েছে এই গ্রুপে। এছাড়া ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে নাম লেখানো কানাডা রয়েছে। যারা কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল। এছাড়া আফ্রিকান কঠিন প্রতিপক্ষ মরক্কো রয়েছে গ্রুপে।
সুতরাং, গ্রুপটা যে সহজ হবে না তা বলাই যায়। রাশিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয় হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া, তৃতীয় হয়েছিল বেলজিয়াম। চার বছর আগে, রাশিয়া বিশ্বকাপে স্পেনকে প্রায় বিদায় করে দিয়েছিল মরক্কানরা।

F Group

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফ্রিকান দেশটির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল স্পেন। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে যদি ইয়াগো আসপাস গোলটি না করতেন, তাহলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতো স্প্যানিশরা।
এই গ্রুপে সবাই তাকিয়ে থাকবে ক্রোয়েশিয়া আর বেলজিয়ামের দিকেই। গ্রুপ পর্বে তাদের ম্যাচটি হবে বেশ আকর্ষণীয়। হয়তো এই দুই দলই উঠবে নকআউটে। তবে চোখ রাখতে হবে মরক্কো এবং কানাডার দিকেও। অঘটন ঘটিয়ে দিলে তো কথাই নেই। কারণ, বিশ্বকাপটাই যে অঘটন ঘটন পটিয়সি!
গ্রুপ ‘জি’: ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া, ক্যামেরুন
বিশ্বকাপের সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ। ব্রাজিল ফেবারিট। তবে বাকি তিন প্রতিপক্ষের দিকে তাকালে বোঝা যাবে, গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তবে কাকতালীয়ভাবে একটা ঘটনা এবার ঘটে গেছে। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপেও একই গ্রুপে ছিল ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড এবং সার্বিয়া।
সেবার ‘ই’ গ্রুপ থেকে যদিও সার্বিয়া এবং কোস্টারিকাকে বিদায় করে নকআউটে উঠেছিল ব্রাজিল এবং সুইজারল্যান্ড। সুইসদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই ড্র করেছিল ব্রাজিল। পরের দুই ম্যাচে কোস্টারিকাকে ২-০ এবং সার্বিয়াকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল নেইমাররা।

G Group

তবে ব্রাজিল এবার আগের চেয়ে কিছুটা শক্তিশালী। পাকুয়েতা, রাফিনহা, অ্যান্তোনিও এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা নেইমারের ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে, ভালো ফলও আসতেছে এবং দীর্ঘ ৫ বছর পর ব্রাজিল উঠে এসেছে ফিফা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে।
তবে সুইজারল্যান্ড আর সার্বিয়া সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছে আফ্রিকান সুপার ঈগল ক্যামেরুন। সুতরাং, এই গ্রুপ থেকে কোন দুটি দল নকআউটে উঠবে, আগে থেকে বলা মুস্কিল।
গ্রুপ ‘এইচ’: পর্তুগাল, ঘানা, উরুগুয়ে এবং দক্ষিণ কোরিয়া
এবারের বিশ্বকাপের আরেক মৃত্যুকূপ এইচ গ্রুপ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ। কাতারে খেলতে আসতে পারবেন কি না রোনালদোরা, সেটাই ছিল অনিশ্চিত। কিন্তু প্লে-অফের কঠিন বাধা পার হয়ে তারাও যোগ দিয়েছে সেরা ৩২টি দলের একটি হিসেবে।
কিন্তু গ্রুপ পর্বে তাদেরকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। লুইস সুয়ারেজ এবং এডিনসন কাভানির উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে পর্তুগিজদের। এই ম্যাচটি নির্ধারণ করবে হয়তো ‘এইচ’ গ্রুপের সেরা হবে কারা।
মনে করা হচ্ছে, এবারের পর্তুগাল দলে রয়েছে সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড়দের সমাবেশ। রুবেন দিয়াজ, হোয়াও ক্যান্সেলো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। উরুগুয়েও কম যায় না। সুয়ারেজ-কাভানি ছাড়াও রয়েছে উদীয়মান মিডফিল্ডার ফেডেরিকো ভালভার্দে, জিওর্জিনো ডি অ্যারাসেটা।

H Group

কিন্তু মোটেও হিসেবের বাইরে রাখা যাবে না ঘানা এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে। কোরিয়ানদের স্কোয়াডে রয়েছে সন হিউং মিন। বড় ম্যাচের খেলোয়াড় তিনি। যে কোনো সময় ম্যাচের চিত্র বদলে দিতে পারেন। ঘানা এমনিকেই আফ্রিকান দেশ হিসেবে শক্তিশালী। তবুও দেশটির দুই খেলোয়াড় থমাস পার্টি এবং বিদ্যুত গতিতে ছুটে চলা প্লে-মেকার মোহাম্মদ কুদুস।
তবে, সবার নজর থাকবে এবার উরুগুয়ে এবং ঘানার ম্যাচের দিকে। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। ওই ম্যাচে সুয়ারেজের হ্যান্ডবল এবং লালকার্ডের পর ঘানাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় উরুগুয়ে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.