কাঠগড়ায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীই তৃতীয় দফার ভোরের শুরুতে

(কাঠগড়ায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীই তৃতীয় দফার ভোরের শুরুতে–ছবি: প্রতিনিধির)
কলকাতা প্রতিনিধি: নন্দীগ্রাম -সহ মোট ৩০টি আসনের ভোটপর্ব শেষ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে। ভোট তৃতীয়ার শুরয়াতেও কাঠগড়ায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীই। কোথাও বুথে ঢুকে পড়া, কোথাাও ভোটারকে প্রভাবিত করা, অভিযোগ আসতে শুরু করেছে নানা জায়গা থেকে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ভোটদানের শুরুতেই যে অভিযোগ গুলি উঠছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে-
অভিযোগ-১
তারকেশ্বরে এক নাবালিকার ‘শ্লীলতাহানি’-র অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত জওয়ানকে জুতোপেটা করে উত্তেজিত জনতা। এই তারকেশ্বরেরই ১৩৩ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে  অভিযোগ বিজেপির পক্ষে ভোট করানোর।
অভিযোগ-২
দ্বিতীয় অভিযোগটি সাতসকালে এসেছে রায়দিঘি থেকে।  এই কেন্দ্রে ২৪ নং বুথে মহিলা ভোটারদের বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ধমকি দিচ্ছে কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান। এমনই অভিযোগ এসেছে।
অভিযোগ-৩
ডায়মন্ড হারবারের ২০৯ নম্বর বুথে এক পোলিং এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সূত্রের খবর, এই আধাসেনা বারং বার বুথে ঢুকে ভোটার এবং পোলিং এজেন্টকে কাজে বাধা দিচ্ছেন।
অভিযোগ-৪
হাওড়া জেলার আমতায় ৫৬ নং বুথে সিআরপিএফ কোনও তৃণমূল এজেন্টকে ঢুকতে দিচ্ছে না বলে খবর।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার ভোটে সিআরপিএফ-এর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ এসেছিল নানা অঞ্চল থেকে। খোদ নন্দীগ্রামে ত়ৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগের আঙুল তোলেন তাদের বিরুদ্ধে। বলেন গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে সিআরপিএফ। অভিযোগ ওঠে ভোটারের থেকে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ারও, যা বেএক্তিয়ার। তৃণমূল কমিশনে অভিযোগও জানায়। কমিশনের তরফে জানানো হয়, কখনওই ভোটারের পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারে না। উত্তাপ আর রাজনৈতিক বিতণ্ডাতেই কেটেছে পরবর্তী পাঁচ দিন। প্রতিটি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন ভোটপ্রক্রিয়া ব্যহত না করতে। মমতা আক্রমণ শানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। বলেছেন অমিত শাহের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আইনভঙ্গ করছে। এই আবহেই শুরু ভোটতৃতীয়া। দেখা যাচ্ছে আরও একবার জনতার কাঠগড়ায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীই।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, হুগলি, হাওড়া এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, এই  ৩ জেলায় ভোটের সুরক্ষায় মোট ৬১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে দ্বিতীয় দফার ভোটে মোতায়েন ছিল ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.