কাজাখস্তানে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাজাখস্তানের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ায় প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমাত তোকায়েভ দেশটির জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এ জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ৫ জানুয়ারি দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।  
দুই সপ্তাহ আগে মধ্য এশিয়ার এ দেশটিতে হঠাৎ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা সহিংশতায় রূপ নেয়।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটিতে কমপক্ষে ২২৫ জন প্রাণ হারান। পরিস্থিতি সামাল দিতে  রাশিয়ার সাহায্য চান কাজাখ প্রেসিডেন্ট।
গত ১৩ জানুয়ারি চার প্রদেশ থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে রাজধানী নুর সুলতানসহ সব প্রদেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় দেশটির সব এলাকা থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয় মঙ্গলবার।
রাশিয়া ও চীনের মাঝামাঝি কাজাখস্তানের অবস্থান। দেশটির সঙ্গে সাবেক তিনটি সোভিয়েত রাষ্ট্রের সীমান্ত রয়েছে। ১০টি প্রদেশ। প্রতিটি প্রদেশই ব্রিটেনের চেয়ে বড়।
কিন্তু জনসংখ্যা মাত্র এক কোটি ৯০ লাখ। জ্বালানি তেলসমৃদ্ধ কাজাখস্তানকে প্রায়ই উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে মডেল হিসেবে দেখা হয়। ১৯৯১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটি কয়েকশ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে। ২০২০ সালেই দেশটির জিডিপি ছিল প্রায় ১৭ হাজার কোটি ডলার।
বর্তমানে কৌশল ও ভূরাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজাখস্তান। দেশটি দক্ষিণ এশিয়াকে রাশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে সড়ক, রেল, কাস্পিয়ান সাগরের বন্দরের মাধ্যমে যুক্ত করেছে।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেও নিজেকে তুলে ধরেছে। বিশ্বের শীর্ষ ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী দেশ কাজাখস্তান, যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান জ্বালানি। চলমান বিক্ষোভের কারণে ইউরেনিয়ামের দাম ইতোমধ্যে ৮ শতাংশ বেড়ে গেছে।
বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানি তেলের দামও। বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অপরিশোধিত তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। আর পরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৮৩ ডলার ছাড়িয়েছে। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ। ২০২১ সালে আট কোটি ৫৭ লাখ টন তেল উৎপাদন করেছে। এ ছাড়া বিশ্বের দশম কয়লা উৎপাদনকারী দেশও। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.