কাকিনা- রংপুর সড়কের কয়েক যায়গায় ধস, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের কাকিনা বাজার হতে রংপুর অভিমুখী সড়কের প্রায় ৮ থেকে ১০ টি স্থানে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের ধসে যাওয়া অংশ শনিবার বিকেল পর্যন্ত মেরামত না করায় গর্তের পাশ দিয়ে আতঙ্ক ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ওই গর্তে রাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লালমনিরহাটের কাকিনা বাজার ও রংপুর অঞ্চলের চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক লালমনির হাট- রংপুর অভিমুখী সড়ক। এটি রংপুর বুড়িরহা থেকে কাকিনা হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরে গিয়ে শেষ হয়েছে। সড়কটি দিয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে রংপুর শহরে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া তিন হাজারের বেশি মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যান চলাচল করে।
সড়কটিতে সরজমিনে গেলে দেখা যায়, লালমনিরহাটের কাকিনা বাজার থেকে রংপুর নগরীর বুড়িরহাট পর্যন্ত সড়কটিতে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি স্থানে বড় বড় ধসের সৃষ্টি হয়েছে।
কথা হয় এসকেএস বাজার এলাকার গালামাল ব্যবসায়ী আমজাদ ভাটিয়ার সাথে তিনি জানান,‘ দুই দিন থাকিয়া বৃষ্টি হবার কারণেই সড়ক অনেক জায়গায় ধসে গেইছে। দিনরাত এই সড়ক দিয়ে যেভাবে পাথর ভর্তি ড্রামগাড়ী চলাচল করে, তাতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ধসে যাওয়া স্থানে যদি এখনেই ঠিক না করে তাহলে আবার বৃষ্টি হলে সড়কের বাকি স্থান গুলোতেও ধসে যাইবে।
রাজশাহী থেকে ড্রাম গাড়ী নিয়ে পাটগ্রামে পাথর নিতে আসা চালক ইসমাঈল মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান,‘ কালকে রাতেই গাড়ী নিয়ে যাওয়ার সময় সড়কটি ভালো ছিলো এখন আসার পথে দেখতেছি সড়কের অনেক জায়গায় ধসে গেছে। এই সড়কে যেভাবে গাড়ী চলে আজকালের মধ্যে ঠিক না করলে কিন্তু সড়কটিতে বিপদ ঘটতে পারে।
রংপুর নগরীর বুড়িরহাট বাজার থেকে কাকিনা বাজারে সুপাড়ি ক্রয় করতে আসা ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান,‘ বুড়ির হাট থাকি কাকিনা পর্যন্ত যতোগুলা যাগাত ভাঙছে আজ-কালকের মধ্যে যদি ঠিক না করে তাহইলে কিন্তু রাস্তার অবস্থা খারাপ হইবে।
লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বিটিসি নিউজকে জানান, গতকালকের রাতের টানা বৃষ্টিতে সড়কটির লালমনিরহাটের কাকিনা থেকে বুড়িরহাট পর্যন্ত প্রায় ৮ থেকে ১০ জায়গায় বড় বড় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না যে কো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ধসে যাওয়ার স্থানগুলো সংস্কারের জন্য রংপুর এলজিইডি অফিস থেকে লোকজন ঠিক করা হয়েছে। দ্রুতই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.