কসবায় জাল টিকেট বিক্রেতা ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে পালিয়েছে, সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: কসবা রেলওয়ে প্লাটফরমে গত রোববার (২৫ আগস্ট ) উপকূল ট্রেনের জাল টিকেট বিক্রীর সময় জনতা হাতেনাতে এক জাল টিকেট কালোবাজারীকে ধরে স্টেশন মাস্টারের নিকট সোপর্দ করে।

এসময় তার কাছে থাকা ১৫টি জাল টিকেট পাওয়া যায়।

আটক টিকেট বিক্রেতা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের নেমতাবাদ গ্রামের দুলাল মুন্সীর ছেলে রায়হান মুন্সী ওরফে স্বপন (২৮)।

স্টেশন মাস্টার ওই সময় আখাউড়া জিআরপি থানায় খবর দিয়ে আটক জাল টিকেট বিক্রেতা স্বপনকে টয়লেটে তালাবদ্ধ করে রাখে। পুলিশ আসার পর তালা খুলে টিকেট বিক্রেতা স্বপনকে পায়নি।

সহকারি স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন জানান, আটককৃত আসামী টয়লেটের ভেন্টিলেটার দিয়ে পালিয়ে যায়।

স্বপনের হাতে থাকা ১টি মোবাইল ফোন ও ৬টি সিম কার্ড স্টেশন মাস্টার আটক করে রাখলে স্বপনের মা ও বোন মোবাইল সেটটি নিতে আসলে স্টেশনে কর্তব্যরত কর্মচারীরা তাদের আটক করে স্বপনকে হাজির করতে চাপ দেয়।

কিন্তু স্থানীয় কিছু লোকের চাপের মুখে স্বপনের মা-বোনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয় বলে স্টেশন মাস্টার জানান।

এঘটনায় আখাউরা জিআরপি থানায় মামলা হলেও পুলিশ স্বপনকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনা নিয়ে সারা কসবায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায় কুমিল্লা ও কসবায় একটি চক্র এই জাল টিকেট বিক্রীর সাথে জাড়িত আছে।

সহ-স্টেশন মাস্টার জসীম উদ্দিন বিটিসি নিউজকে জানান, জাল টিকেট বিক্রেতা রায়হান মুন্সী স্বপন ভেন্টিলেটার ভেংগে পালিয়ে গেলে আমরা কৌশল করে তার মা-বোনকে স্টেশনে এনে আটক করি।

কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ছাড়তে বাধ্য হই। একজন টিভি সাংবাদিক ও পত্রিকা সম্পাদকতো বলেই ফেলেন ছেলেটি তার ভাগীনা। তিনি বলেন; স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সোলেমান খান, উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার জীবন ও নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম ও কসবা থানা অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি আমরা অবহিত করেছি।

এদিকে এঘটনায় আইনমন্ত্রীও ক্ষুব্দ হয়েছেন বলে গতকাল রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার এ প্রতিবেদককে জানান।

তিনি বলেন; আখাউড়া জিআরপি ও কসবা থানাকে এই অসাধু চক্রকে খোঁজে বের করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আখাউরা রেলওয়ে থানা (জিআরপি) ওসি শ্যামল দাসের সংগে যোগাযোগ করলে তিনি বিটিসি নিউজকে জানান, পলাতক আসামী রায়হান মুন্সী স্বপনকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।

তবে অন্যান্য  টিকেট কালোবাজারিদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্থানীয় জনসাধারণের অভিমত আখাউরা জিআরপি থানার যোগসাজসে  টিকেট কালোবাজারি হচ্ছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.