কসবায় কোম্পানীর এক ডেলিভারীম্যানের লাশ উদ্ধার

বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় প্রাণ আরএফএল এর ডিলার আলমাস ভ্যারাইটিজ স্টোরের ডেলিভারীম্যন আসাদ মিয়ার (২৭) লাশ উদ্ধার করেছে কসবা থানা পুলিশ।
আজ সকালে উপজেলার কসবা-নয়নপুর সড়কের আকছিনা গ্রামের ইটখোলার একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আসাদ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের পুত্র। আসাদ মিয়া কসবা উপজেলার নতুন বাজারের প্রাণ আরএফএল এর ডিলার আলমাস ভ্যারাইটিজ স্টোরে বিগত ৫ বছর যাবত ডেলিভারীম্যানের চাকুরী করে আসছিলেন। আসাদ মিয়ার স্ত্রী ও আদিবা নামে ১টি তিন বছরের মেয়ে রয়েছে। সে কসবা পৌর এলাকা সাহাপাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছে।
প্রাণের ডিলার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আসাদ মিয়া গত শনিবার সকাল ৮টায় মালামাল ডেলিভারী দেওয়ার জন্য বের হন। বিকাল ৫টার দিকে সে ডেলিভারী ভ্যানসহ ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে যে কিছু কালেকশন বাকি আছে। কালেকশন করে কিছুক্ষণ পরে আসছি। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
পরে আজ রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন কসবা থানায় খবর দিলে পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
প্রাণ আরএফএল এর ডিলার আলমাস ভ্যারাইটিজ স্টোরের মালিক দিদারুল আলম বিটিসি নিউজকে জানান, তার কাছে কালেকশনের প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিল। টাকার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বিটিসি নিউজকে জানান, ধারনা করা হচ্ছে গলায় মাফলার পেচিয়ে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.