কসবায় কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ : ধর্ষক গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
বিশেষ প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ফুফু অসুস্থ্যতার কথা বলে এক কিশোরী (১৫)কে অপহরন করে একটি ঘরে আটকে রেখে চারদিন ধরে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে রমজান মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে অপহরন ও ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। ধর্ষণ ও অপহরনের অভিযোগে রমজান মিয়া (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে। কিশোরীকে আজ শনিবার সকালে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া রমজান মিয়া কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের কালতা গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে। তাকে আজ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ ও মামলার এজহার সুত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা এলাকার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর বোনের স্বামীর বাড়ি কসবা উপজেলার আকছিনা গ্রামে। ওই কিশোরী গত সোমবার (১২ এপ্রিল) তার বোনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে কসবা উপজেলা সদরে আসে। গাড়ি থেকে নামার পর ওই কিশোরীর ফুফুত ভাই কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নে কালতা গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া (৩৫) এর সাথে দেখা হয়।
রমজান ওই কিশোরীকে বলেন, তার মা কিশোরীর ফুফু গুরুতর অসুস্থ্যতার কথা বলে তাকে নিয়ে যায় তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। পরে বাড়ি না গিয়ে অন্য একটি বাড়িতে রেখে কিশোরীকে একটি বাড়িতে আটকে রেখে পরপর চারদিন জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এদিকে ওই কিশোরীকে খুজেঁ না পেয়ে তার মা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে রমজান মিয়াকে আসামী করে কসবা থানায় অপরহরন ও ধর্ষনের একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার কালতা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় কিশোরীর সাথে থাকা রমজান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওই কিশোরীকে আজ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট কোর্টের বিচারক তারানুম রাহাত এরা আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওই দিকে গ্রেপ্তার হওয়া রমজান মিয়াকে আজ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো.নুরে আলম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কিশোরীকে ফুফু অসুস্থতার কথা বলে অপহরন করে অন্য একটি বাড়িতে আটকে রেখে চারদিন ধরে ধর্ষন করা হয়েছে। মেয়েটির মা বাদী হয়ে রমজান মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি অপরহন ও ধর্ষনের অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর কালতা গ্রামের একটি ঘর থেকে দু‘জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতনের ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া রমজান মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ধর্ষণ ও অপহরনের অভিযোগে রমজান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছথেকেই মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.