কসবায় উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী পরাজিতদের

বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে কসবার ৩৮ টি কেন্দ্রে বিভিন্ন অনিয়ম ও এজেন্টদের বের করে দিয়ে নির্বাচনী কাজে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ভোট কেটে নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন পরাজিত চেয়াম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আইনমন্ত্রীর সাবেক এপিএস, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়ার কসবাস্থ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদুল কাওসার ভূইয়া বলেন, মঙ্গলবার দিনব্যাপী একটি প্রহসনমুলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে আমার কর্মী—সমর্থক ও এজেন্টদেরকে ওই ৩৮টি কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ৮৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ওই ৩৮টি কেন্দ্রে ব্যাপক ভোট কারচুপি হয়েছে। ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানালে ব্যবস্থা নিচ্ছি ও নেওয়া হচ্ছে বলে কালক্ষেপন করা হয়েছে। যে সকল কেন্দ্রে সুষ্ঠ ভোট হয়েছে সেই কেন্দ্রগুলিতে আমি পাশ করেছি। প্রহসনের এ নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা ওই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী করছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে প্রায় হাজার খানেক নেতা—কর্মী আহত হয়েছে। আমার একজন কর্মী এমদাদুল হক পলাশ ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি ও আমার নেতা—কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। বায়েক এলাকার ফাহিম নামের এক কর্মীকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন । তিনি বলেন, যে সকল কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠ ভোট হয়েছে সেইগুলিতে আমরা পাশ করেছি। ৩৮টি কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। এ নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় ভোগ গ্রহনের দাবী করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আফজাল হোসে ও তাঁদের কর্মী—সমর্থকরা।
রিটানিংর্ কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ—পিরিচ প্রতিকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ছাইদুর রহমান । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বি›দ্ব মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. মনির হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৯ হাজার ১৯১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বি›দ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহারিয়ার মুক্তার বলেন, জাল ভোট দেওয়া ও চেষ্টা করার অপরাধে বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যেখানে কোন সমস্যার খবর পাওয়া গেছে সেখানেই ম্যাজিস্টেটসহ আইনশৃংখলা বাহিনী তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি মো: লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.