কষ্ট করি ঘর কোনা তুলছিনুং তাও ভাঙ্গি গেল ঝড়োত, মুই গরীব মানুষ কেমন করি ঘর তুলিম?

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয় ঘর কোনা মোর কাল বৈশাখী ঝড়োত ভাঙি লন্ড ভন্ড হয়া গেল,মুই গরিব মানুষ কেমন করি এ্যালা ঘর তুলিম, অনেক কষ্ট করি ঘর কোনা তুলি আছুং তাও ভাঙ্গি গেলো! মুই থাকিম এলা কোনটে,হামরা গরিব মানুষ কাও দেখে না। তাতে আবার করোনায় বসি বসি চলছে হামার দিন।
মুই এ্যালা (এখন) কি করি খাইম! কোন রকম মুই ভাঙা ঘর কোনাত থাকং তাও ভাঙ্গি গেল!কাও মোক একনা সহযোগীতাও করিল না ঘর কোনা ভাল করার জন্য। এমন করি বসি থাকলে আয়-রোজগার না করলে, কেমন করি (কিভাবে) পরিবার নিয়া বাঁচমো। হামরা খুব কষ্টে আছি।
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম মুন্সীর বাজার এলাকার মৃত্যু শামসুর হকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম।
গতকাল শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ আধা ঘন্টার ঝড়ে কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম, মদাতী, ভোটমারী সহ বেশ কিছু স্থানে কাল বৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে পড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গতকাল রাতের কাল বৈশাখী ঘড়ে কাশীরাম, বৈরাতী তুষভান্ডার সহ উপজেলার বেশ কিছু স্থানে ঘড়-বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছপালা ভেঙেছে বেশি।ঝড়ে যাদের ক্ষয ক্ষতি হয়েছে তাদের নাম তালিকার করা হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের আজ খোঁজ নিয়েছি। তাদের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.